Anubrata Mondal

ভোটের আগে দায়িত্বে ফের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠেরাই

সম্প্রতি ব্লক সভাপতিদের যে নামের তালিকা তৃণমূল প্রকাশ করেছে, সেখানে মঙ্গলকোটে সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামকেশব ভট্টাচার্যকে। তিনি এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Advertisement

প্রণব দেবনাথ

কাটোয়া শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

তিনি জেলে যাওয়ার পরে তাঁর এলাকায় সংগঠন পরিচালনায় কিছু রদবদল এনেছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। দলের নানা সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি বুঝে এলাকায় ‘সক্রিয়’ হতে শুরু করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিতেরা। তবে সম্প্রতি দলের এক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ শোনা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের গলায়। পূর্ব বর্ধমানের যে তিন এলাকা অনুব্রত দেখতেন, সেই কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামে ব্লক সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠেরাই প্রাধান্য পেয়েছেন বলে তৃণমূলের নানা সূত্রের দাবি। দলের কর্মীদের একাংশের ধারণা, তিনি তিহাড় জেলে থাকলেও, লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রতের তৈরি সংগঠনের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামে দলে কার্যত শেষ কথা ছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতই। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরে সেখানে সংগঠন দেখভালের দায়িত্বে দেওয়া হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। সম্প্রতি দলের এক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে, দলের বীরভূম কোর কমিটিও ছোট করে দিয়েছেন। বাদ দেওয়া হয়েছে কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহনেওয়াজের ভাই তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মালকে। আপাতত দল পরিচালনায় দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রতের অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতারাই।

সম্প্রতি ব্লক সভাপতিদের যে নামের তালিকা তৃণমূল প্রকাশ করেছে, সেখানে মঙ্গলকোটে সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামকেশব ভট্টাচার্যকে। তিনি এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবার, কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে ফের পদ দেওয়া হয়েছে তরুণ মুখ্যোপাধ্যায় ও বিকাশ মজুমদারকে। আউশগ্রাম ১ ব্লকে অরূপ সরকারকে ফের সভাপতি করা হয়েছে। আউশগ্রাম ২ ব্লকে নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ আব্দুল লালন। কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামেও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের সম্পর্ক ভাল বলে দল সূত্রের দাবি। ব্লক সভাপতিরা এলাকায় কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। তাঁদের নেতৃত্বে রেখে লোকসভা ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্ব বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে ধারণা এলাকার তৃণমূল কর্মীদের অনেকের।

Advertisement

বিজেপির জেলা (কাটোয়া সাংগঠনিক) গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘তিহাড় জেলে বন্দি নেতা ছিলেন ভোট লুটের সর্দার। তাঁর দেখানো পথেই ভোট করানোর চেষ্টা করবে তৃণমূল। সে জন্যই সে ধরনের লোকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ এ বার প্রতিরোধ করবেন।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কিছু ভাবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শ ও উন্নয়নের কথা কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। মমতাকে দেখেই মানুষ ভোট দেবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement