প্রতীকী ছবি।
কাগজ তৈরির জন্য গাছ কাটা পড়ে। ক্ষতি হয় পরিবেশের। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত সরকারি দফতরের কাজকর্ম কী ভাবে ‘কাগজহীন’ করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা জানাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলার ই-গভর্নেন্স কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়, জেলাশাসকের অফিস-সহ জেলা প্রশাসনের সব সরকারি দফতরে ‘ই-অফিস’ চালু হবে। সে জন্য জেলাশাসকের অফিসের ইন্টারনেট সংযোগের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু দফতরের ফাইল স্ক্যানের কাজও দ্রুত শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরে ধাপে ধাপে সব দফতরেই এই কাজ হবে। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠি বলেন, ‘‘জেলায় সব দফতরে ই-অফিস চালু করার তোড়জোড় চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’
কিন্তু কেন এমন তোড়জোড়? প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিবেশ রক্ষায় রাজ্য সরকার সমস্ত সরকারি অফিসের কাজকর্ম কাগজহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য স্তরের প্রায় সব দফতরেই ই-অফিস রয়েছে। এই পদ্ধতিতে সরকারি ফাইল স্ক্যান করে ই-অফিসে ডাউনলোড করতে হয়। আধিকারিকেরা কম্পিউটারের ডান দিকে ডাউনলোড করা অংশটি দেখতে পান। বাঁ দিকে থাকে ‘নোট’ দেওয়ার জায়গা। এর ফলে যেমন কাগজের ব্যবহার কমে, তেমনই ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বা ফাইল রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলাও আর থাকে না। কিন্তু জেলা স্তরে এমন উদ্যোগ এখনও সে ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি বলেই পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ।
২০১৬-য় সাবেক বর্ধমানের তৎকালীন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন নির্দেশিকা জারি করে জানান, নথি, নির্দেশিকা, বিলের রসিদ-সহ নানা সরকারি কাজকর্মে কাগজের দু’পিঠই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তার পরেও সেই উদ্যোগ সে ভাবে নজরে পড়েনি বলেই নাগরিকদের একাংশের দাবি।
তবে জেলা প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যেই ই-অফিস চালু করার জন্য রাজ্য স্তরে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও কর্মীরা। জেলা স্তরে আধিকারিক ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানায়। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ই-অফিস চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।