Russia Ukraine War

Russia-Ukraine war: ফিরলেন সালহিন, উৎকণ্ঠায় গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি

এ দিন বিকেল ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে সাহলিনের বিমান এসে পৌঁছয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল ও দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৫৫
Share:

ফিরলেন আসানসোলের সালহিন সাজিদ। নিজস্ব চিত্র

যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে রবিবার বিকেলে (ভারতীয় সময়) বাড়ি ফিরলেন সালহিন সাজিদ। কিন্তু এখনও চিন্তামুক্ত হননি রুমকি-ঝুমকির পরিবার-পরিজনেরা।

Advertisement

সাহলিনের আসার আগাম খবর ছিল আসানসোলের ওকে রোডের প্রতিবেশীদের কাছেও। তাই সকাল থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য তৈরি ছিলেন। সালহিন বাড়ি পৌঁছতেই ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বরণ করে নেন। পরিবার-পরিজনেরা তাঁর জন্য কেক নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন। সেই কেক কেটেই তিনি বাড়িতে প্রবেশ করেন।

এ দিন তাঁকে দেখার জন্য প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ে। বাড়ির গেটে পা দিয়ে সাহলিনের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “বাড়ি ফিরে স্বস্তি পেলাম।”

Advertisement

তবে সেখানকার অন্য ভারতীয় বন্ধুদের জন্যও তাঁর চিন্তা রয়ে গিয়েছে বলে জানালেন তিনি। তিনি বলেন, “বুধবার ইউক্রেনের খারকিভ ছাড়ার সময়ও, অনেকে সেখানে রয়ে গিয়েছেন। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে খুব সহযোগিতা করা হয়েছে।” এ দিন মেয়েকে হাতের নাগালে পেয়ে আপ্লুত বাবা মহম্মদ সাজিদ আখতার বলেন, “মেয়ের পুনর্জন্ম হল। আমরা খুবই কৃতজ্ঞ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতি। দুই সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই, সেখানকার ভারতীয় পড়ুয়ারা নিরাপদে দেশে ফিরতে পেরেছেন।”

এ দিন বিকেল ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে সাহলিনের বিমান এসে পৌঁছয়। জেলা প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই তাঁর ফেরার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রেখেছিল। প্রশানের তরফে এক আধিকারিক তাঁদের স্বাগত জানান।

এ দিকে, রবিবার দুপুরে (ভারতীয় সময়) একবার বাবা-মা ধীরেন ও সুনন্দার সঙ্গে যোগযোগ হয় দুর্গাপুরের রাতুরিড়ার যমজ বোন রুমকি ও ঝুমকি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে তাঁরা বাসে করে কোথায় যাচ্ছেন, তা জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসমেন্টে কয়েকদিন আশ্রয় নেওয়ার পরে, বুধবার তাঁরা খারকিভ থেকে বেরিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা হেঁটে একটি স্টেশনে যান রুমকি-ঝুমকি। প্রথমে তাঁরা ট্রেনে হাঙ্গেরি যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিড়ের চোটে পর পর ট্রেন ছেড়ে দিয়ে, শেষে হেঁটে পিসোচিন শহরে পৌঁছন। পরে সেখান থেকে শুক্রবার বাসে করে তাঁরা সীমান্তের দিকে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু যুদ্ধের গোলাগুলির মাঝে বাস আর এগোয়নি।

ধীরেন জানান, শনিবার দিনভর যোগাযোগ হয়নি দু’জনের সঙ্গে। চার্জ না থাকার জন্য, মাঝে মধ্যেই দীর্ঘ সময় তাঁদের মোবাইল বন্ধ থাকছে। তবে রবিবার মা সুনন্দার সঙ্গে কথা হয় দুই মেয়ের। তাঁরা বাসে করে কোনও এক দেশের সীমান্তের পথে যাত্রা করেছেন। সুনন্দা বলেন, “খুব সামান্য কথা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ওরা বাসে করে কোথাও যাচ্ছে। সম্ভবত ২০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে ওরা। খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি।” — নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement