প্রতীকী ছবি।
এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক, বিরোধী দু’পক্ষই। কিন্তু একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত কাটোয়ায় এ বার কতগুলি আসনে প্রার্থী দিতে পারবে দল, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের মধ্যেই।
রবিবার পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কাটোয়া মহকুমা কংগ্রেস নেতৃত্ব একটি বৈঠক ডাকেন। কাটোয়া কলেজের কাছে একটি ভাড়া ঘরে ওই বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন মহকুমার পাঁচটি ব্লকের নেতা-কর্মীরা। ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকে মহকুমার সব আসনে যে প্রার্থী দেওয়া যাবে না, তা জানান নেতারা। বিজেপি, তৃণমূলকে হারাতে নির্দল ও সিপিএম প্রার্থীদের সমর্থন করা হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে দাবি কাটোয়া মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ দত্তের।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, তৃণমূল, বিজেপিকে আটকানো। মহকুমা স্তরে স্থানীয় নেতাদের অধিকার দেওয়া হয়েছে, নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করার। তাঁরা চাইলে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’’
কাটোয়া শহরের পাশাপাশি মহকুমার বহু পঞ্চায়েতই কংগ্রেস নিজেদের দখলে রেখেছিল। দীর্ঘ ২০ বছর কাটোয়া পুরসভায় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু ছ’বছর ধরে মহকুমায় কংগ্রেসের কোনও অফিস নেই। ব্লক ও পঞ্চায়েত এলাকায় অফিস থাকলেও কর্মীর অভাবে তা প্রায় বন্ধই থাকে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। মুষড়েও পড়েছেন অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেতুগ্রামের এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সভা হয়েছে শুনেছি। বছর সাতেক আগেও কাটোয়া ও কংগ্রেস সমার্থক শব্দ ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়ার জন্য প্রার্থীর অভাব হতো না। কিন্তু এখন সেই সব অতীত। এখন যা অবস্থা তাতে আমাদের দল মহকুমার বেশির ভাগ আসনেই প্রার্থী দিতে পারবে কি না, সন্দেহ।’’
মঙ্গলকোট ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি গুরুসদয় চৌধুরী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হয়েছে। আমাদের দলের সোনালি দিনের কথা ভাবতে কষ্ট হয়। সাংগঠনিক অভাব তো রয়েছেই। তবে আমরা হতাশায় ভুগছি এমনটা নয়। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ভালই হবে, আশা করছি।’’
কাটোয়া মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ দত্ত বলেন, ‘‘সভা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছ। ৪০ থেকে ৪৫ জন নেতা এসেছেন। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা সব আসনেই প্রার্থী দেব। তবে শাসক দলের অত্যাচারে আদৌ পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে।’’