বৈঠকে মেলে না বলার সুযোগ, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

পুর পরিষেবা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ বৈঠকে তাঁদের তুলতেই দেওয়া হয় না। অথচ, শাসক দলের কাউন্সিলরদের বলার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকেও মেয়র থাকেন না। এমনকী, শেষ বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ডেপুটি মেয়রও। এ ভাবে শহরবাসীর সঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ তুললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০০:৫৯
Share:

পুর পরিষেবা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ বৈঠকে তাঁদের তুলতেই দেওয়া হয় না। অথচ, শাসক দলের কাউন্সিলরদের বলার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকেও মেয়র থাকেন না। এমনকী, শেষ বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ডেপুটি মেয়রও। এ ভাবে শহরবাসীর সঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ তুললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

বর্তমানে পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি তৃণমূলের দখলে। বামেদের দখলে রয়েছে ১১টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কানু মণ্ডলের মৃত্যুর পরে একটি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া কংগ্রেস ও বিজেপি-র রয়েছে একটি করে আসন। শেষ দুই দলের তরফে পুরসভার বিরুদ্ধে ইদানীং সে ভাবে মুখ না খোলা হলেও সিপিএম মাঝে-মাঝেই পুরসভার নানা কাজকর্ম নিয়ে সরব হচ্ছে। বিশেষ করে, গত পুরভোটে শিলিগুড়িতে বামেরা বোর্ড দখল করার পরে দুর্গাপুরে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে তারা। পুরসভার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে শহরে সই সংগ্রহ অভিযান থেকে শুরু করে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ, নানা ভাবে আন্দোলনে নেমেছে সিপিএম। একই ভাবে পুরসভার ভিতরেও সরব হচ্ছেন বাম কাউন্সিলররা।

সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শিবশঙ্করবাবু অভিযোগ করেন, এলাকার সমস্যার কথা পুরসভার কাউন্সিলরদের বৈঠকে তুলতেই পারেন না তাঁরা। অথচ, শাসক দলের কাউন্সিলররা যাবতীয় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে তাঁরা কাউন্সিলরদের বৈঠক থেকে ‘ওয়াক আউট’ করেন। শিবশঙ্করবাবুর দাবি, তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। তিনি জানান, ২৯ মে পুরসভার ২২৪তম সভা ছিল। ২৫ মে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে জনজীবন বেহাল হয়ে পড়ে। তিন দিন পরেও বহু জায়গায় নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সেই প্রসঙ্গ বৈঠকে তুলতেই দেওয়া হয়নি। জানিয়ে দেওয়া হয়, সে দিনের আলোচ্যসূচিতে থাকা ৯ দফা বিষয়ের মধ্যে তা নেই। শিবশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বৈঠক ডেকে মেয়র নিজে থাকেন না। সে দিন ডেপুটি মেয়রও ছিলেন না। আমরা দুর্যোগের প্রসঙ্গ তুলতেই আমাদের বাধা দেন চেয়ারম্যান। অথচ, তৃণমূল কাউন্সিলররা আলোচ্যসূচির বাইরের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে গেলেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, গত দু’তিন মাস ধরে পানীয় জলের সঙ্কট চলছে শহরের বহু জায়গায়। সেই বিষয়টিও তুলতে দেওয়া হয়নি বাম কাউন্সিলরদের। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে বিরোধী কাউন্সিলরদের বক্তব্যে বাধা দিয়ে দুর্গাপুরবাসীকেই অপমান করছে তৃণমূলের পুরবোর্ড। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে বিরোধীদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানান, বিধানসভার কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি সে দিনের বৈঠকে থাকতে পারেননি। তবে কোনও বৈঠকেই না থাকার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকব বলে আগের দিন আমি পুরসভায় জানিয়ে এসেছিলাম। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ চেয়ারম্যান সুপ্রভাত মণ্ডলের মোবাইল বন্ধ থাকায় বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement