কানু মণ্ডলের দেহ নিয়ে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত বিরোধী দলনেতার দেহ পুরসভায় নিয়ে যাওয়া হলেও মেয়র, ডেপুটি মেয়র বা চেয়ারম্যান শ্রদ্ধা জানাতে না আসায় অসৌজন্যের অভিযোগ তুলল সিপিএম।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার মুম্বইয়ে মৃত্যু হয় দুর্গাপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের কানু মণ্ডলের (৬১)। রবিবার তাঁর দেহ আনা হয় শহরে। এমএএমসি এলাকায় সিটুর অফিস, সিটি সেন্টারে দলের পার্টি অফিস ও পুরসভায় দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। পুরসভায় যখন দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কাউন্সিলর থাকলেও ছিলেন না মেয়র পারিষদদের কেউ। তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিপিএম।
সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকারের অভিযোগ, “সামান্য সৌজন্যবোধও দেখাতে পারল না তৃণমূল। যেখানে নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষজন এগিয়ে এসেছেন, সেখানে পুরসভায় এমন ঘটনা লজ্জাজনক। দু’এক জন কাউন্সিলর ছাড়া সে রকম কেউ এলেন না সৌজন্য দেখাতে। মেয়র, ডেপুটি মেয়র বা চেয়ারম্যান, কারও সময় হল না!”
পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আমাদের সঙ্গে দলের তরফে সে ভাবে যোগাযোগ করা হয়নি। আমার জানতে চাইলেও বলা হয়, ট্রেন দেরি আছে। সে কারণে দেহ কখন আসবে কিছু জানাতে পারেনি।”
কানুবাবুর জন্মভিটে বাংলাদেশের ফরিদপুরে। ১৯৭৩ সালে দুর্গাপুরের এমএএমসি কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার পরে এখানকার বাসিন্দা হয়ে ওঠেন। সেই সময় থেকেই তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনে যোগ দেন। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত হন তিনি। ২০০৭ ও ২০১২ সালে পুরভোটে দল তাঁকে প্রার্থী করে। দু’বারই জয়ী হন তিনি। ২০১২ সালে বামেরা পুরসভা হাতছাড়া করলেও নিজের আসনে জিতেছিলেন কানুবাবু। নতুন পুরবোর্ডের বিরোধী দলনেতা করা হয় তাঁকে। অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।