দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বহির্বিভাগে অপেক্ষা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
গোটা দেশে ‘জরুরি নয়’ এমন সব পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার তার প্রভাব পড়ল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও। বেশ কয়েক ঘণ্টা বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসক না থাকায় এ দিন সকালে বহির্বিভাগ চালু হয়নি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলে। পরে চালু হয় বহির্বিভাগের পরিষেবা। কিন্তু তখন আর রোগীরা তেমন ছিলেন না। তাঁরা ততক্ষণে ফিরে চলে গিয়েছেন। ধর্মঘটের খবর আগাম না জানায় সকালে চিকিৎসা করাতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে যান রোগীদের অনেকে। তাঁরা জানান, বাস, অটো, টোটোয় সময় ও অর্থ খরচ করে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার না মেলায় ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকে পকেটের পয়সা খরচ করে বাইরে চিকিৎসককে দেখাতে যান। কিছু রোগীর দাবি, বহির্বিভাগে এক জন ডাক্তারকে মাঝে-মধ্যে দেখা গেলেও আর কাউকে দেখা যায়নি। তবে হাসপাতালের অন্য পরিষেবায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি। জরুরি পরিষেবা চালু ছিল। অন্য নানা পরিষেবাও ছিল অন্য দিনের মতোই।
ছ’বছর আগে দুর্ঘটনায় প্রয়াত দুর্গাপুরের চিত্র সাংবাদিক দীপক গুরুঙ্গের স্মরণে এ দিন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল ‘দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম’। সহযোগিতা করে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল টিম। এ দিনই সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচন্দ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী উধম সিংহের স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় বিধাননগরের একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স কলেজে। সেখানেও শিবির আয়োজনে সহযোগিতা করে ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল টিম।
আসানসোল জেলা হাসপাতালে অবশ্য এ দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। সকালে ঠিক সময়েই বহির্বিভাগ খুলে যায়। রোগীদের টিকিট দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা রোগী দেখেছেন। কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল অন্য নানা বিভাগেও। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, এ দিন তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করার অনুরোধ করেছিলেন। চিকিৎসকেরা সেই অনুরোধ রেখেছেন বলে জানান তিনি।