কালনায় ঝড়ের তাণ্ডবে পুজোর মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। — নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানে ক্ষণিকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে এলাকা। একাধিক গাছ উপড়ে গিয়েছে। গাছের ডাল ভেঙে আহত হয়েছেন অনেকে। ঝড়বৃষ্টিতে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। জখম বেশ কয়েক জন।
গলসির বোমপুরে বজ্রাঘাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সজনী মুর্মু। তিনি ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। ঝড়ের সময়েও মাঠেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকা ঝাড়বৃষ্টি শুরু হয় বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায়। কালনায় ওই ঝড় মিনিট তিনেক স্থায়ী হয়েছিল। ঝড়ের দাপটে ওই তিন মিনিটেই ভেঙে পড়ে সরস্বতী পুজোর একাধিক মণ্ডপ এবং অস্থায়ী তোরণ। গাছ ভেঙে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কালনার বৈদ্যপুরে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে গুরুতর জখম হন দু’জন। আহতদের নাম অর্পিতা সাহা এবং অশোক মাহাতো।
অর্পিতা নাদনঘাটের সমুদ্রগড় এলাকার বাসিন্দা। বৈদ্যপুরে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে সরস্বতী ঠাকুর এবং মণ্ডপ দেখতে গিয়েছিলেন। আচমকা ঝড় ওঠে। অন্যান্যদের সঙ্গে অর্পিতাও পড়িমরি মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি বেরোনোর সময়ে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে তাঁর গায়ে। মাথা এবং বুকে চোট পান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। একই ঘটনায় অশোক মাহাতো নামের আরও এক জন আহত হয়েছেন।
ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে রায়না, খণ্ডঘোষ, মেমারিতেও। খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে একাধিক মাটির বাড়ির খড়ের চাল উড়ে গিয়েছে। অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর। রায়না থানা এলাকার আস্তিকুরে ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে আহত হন এক ব্যক্তি। ডাল ভেঙে তাঁর গায়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির নাম অনন্ত পোড়েল।
গোটা পূর্ব বর্ধমান জুড়েই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমান শহরে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য ভারী বৃষ্টি হয়। জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে।