দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় দু’জনকে। —নিজস্ব চিত্র।
আবার শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা। পাশাপাশি যাওয়া চারচাকা গাড়িকে পিষে দিল একটি লরি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু এক জনের। আহত আরও এক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শক্তিগড়ের কাছে একটি দশ চাকার লরির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চারচাকা গাড়িটির রেষারেষি হয়। লরি এবং চারচাকা দু’টিই কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। চারচাকা গাড়িটিকে প্রায় পিষে দেয় লরিটি। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দু’জনকে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি অকুস্থলে পৌঁছে ছিল শক্তিগড় থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, চারচাকা গাড়িতে দু’জন ছিলেন। যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নাম সমরেশ মুখোপাধ্যায় (৬৫)। তিনি চালকের আসনে ছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেলেহাটা গ্রামের বাসিন্দা সমরেশ কলকাতা যাচ্ছিলেন বলে খবর। গুরুতর আহত হয়েছেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের বাসিন্দা। ওই দু’জনের কোনও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আহতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রায় নিত্যদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে। হচ্ছে প্রাণহানিও। কিন্তু বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দা আমির আলির কথায়, ‘‘জাতীয় সড়কে কাজ চলায় রাস্তা ছোট হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রায় প্রতি দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েক দিন আগে ওই একই জায়গায় দুর্ঘটনা হয়েছে। রাস্তার পাশে ধস নেমে রাস্তাটি একেবারে সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে।’’
শনিবার সকালের দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বেশ কিছু ক্ষণ। যানজটের সৃষ্টি হয়। দুমড়ে যাওয়া গাড়িটিকে ক্রেন দিয়ে সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।