‘ভোট কী?’ উত্তর এল ‘জানা নেই’। ‘কবে ভোট’ এ বারেও সেই একই নেতিবাচক উত্তর।
ঘটনাস্থল মঙ্গলকোটের পিণ্ডিরা গ্রাম।
বুধবার গ্রামে ভোট প্রচার সারতে এসে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই অভিজ্ঞতা হল বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক (জন সচেতনতা) ঋতু শুক্লর।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার করজগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পিণ্ডিরা গ্রামে ভোট প্রচারের উদ্যোগ করা হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে থেকেইে এ বারের ভোটের ম্যাসকট ভোটুরও দেখা মেলে প্রচারে। তা ছাড়া প্রচারে নিয়ে আসা হয় লোকশিল্পীদেরও। গ্রামের মানুষকে বুথে যাওয়ার আবেদন প্রচার করতে দেখা যায় ঘোড়ানাচ ও রণ-পা শিল্পীদেরও। ছিলেন লোকশিল্পীরাও।
প্রথমেই পর্যবেক্ষক ও প্রচার দলের গন্তব্য মঙ্গলকোটের পিণ্ডিরা গ্রামে। লোকশিল্পীদের দেখে রীতিমতো ভিড় জমে যায় গ্রামে। ছিলেন পর্যবেক্ষক ঋতুদেবীও। একদল মহিলাকে দেখে তিনি কথা বলতে শুরু করেন। ভোট কী? ভোট দেওয়ার জন্য সঙ্গে করে কী নিয়ে যেতে হবে? কবে ভোট?— পর্যবেক্ষক এমনই বিভিন্ন প্রশ্ন করেন মহিলাদের। সব প্রশ্নেই উত্তর আসে একটাই, ‘জানা নেই।’
এ বার ঋতু শুক্ল জানতে চান, প্রতিবার কী ভাবে ভোট দেন? তখন এক মহিলা জানান, ‘‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন এসে জানিয়ে যান, কী ভাবে ভোট দিতে হয়।’’ রাজু শেখ, সালু বিবির মতো জনা কয়েক বাসিন্দা আবার জানান, গত কয়েকটি ভোটে এলাকার বুথে গোলমাল হয়। তার জেরেও অনেকে বুথমুখো হন না।
দ্বিতীয় গন্তব্য কাটোয়ার করজ গ্রাম। এখানে অবশ্য অন্য সমস্যা। সুশান্ত হাজরা, আর্সেদ আলি খানেরা জানান, গ্রামের অনেকেই জীবিকার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যান। ফলে ভোটের দিন অনেকেই আসতে পারেন না। এলাকার নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন ঋতু শুক্লা। হাতে ধরে ইভিএম মেশিনে কী ভাবে ভোট দিতে হয়, সেটাও দেখিয়ে দেন পর্যবেক্ষক। কাটোয়া দুর্গাদাসী বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলা বুথেরও খোঁজখবরও নিয়ে যান তিনি।
কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার বলেন, ‘‘এ ধরনের প্রচার আরও চলবে। সকল ভোটারকে বুথমুখী করাই প্রশাসনের উদ্দেশ্য।’’