—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১২ তারিখ পর্যন্ত। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পশ্চিম বর্ধমানে মোট ২৮,১৬৩ জন পরীক্ষায় বসবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২৩-এর চেয়ে ৫,৪৯০ জন বেড়েছে। গত বারের মতো এ বারও ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রের
তুলনায় বেশি।
গত বার পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ কী? বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মূলত দু’টি কারণ কারণ জানা গিয়েছে। প্রথমত: ২০১৭-য় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, দশ বছর বয়স না হলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। ফলে, ওই বছর পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির হার ছিল তুলনামূলক কম। সে বছর বছর যারা পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল, তারাই ২০২৩-এ মাধ্যমিকে বসে। দ্বিতীয়ত: করোনা পরিস্থিতির জন্যও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাঝে কিছুটা কমে গিয়েছিল।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের ৮৫টির মধ্যে দুর্গাপুর মহকুমায় রয়েছে ৩৩টি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এ বার প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ক্রমিক নম্বর (সিরিয়াল) থাকবে। সেই নম্বর উত্তরপত্রেও উল্লেখ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এত দিন সাধারণত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেই ক্রমিক নম্বর দেখা যেত। পরীক্ষা পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করে তুলতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা মাধ্যমিক পরীক্ষার সহকারী আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, “আগে কোনও ক্রমিক নম্বর থাকত না। নিরাপত্তার কারণে পর্ষদ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।”
পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে মঙ্গলবার দুর্গাপুরে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের সুপারভাইজ়ার, পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, কেন্দ্রের সচিব থেকে শুরু করে পুলিশ, পরিবহণ দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকটি হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১,৩৪৪ জন। এ বারও ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। পরীক্ষায় বসবে ৬,০২৭ জন ছাত্রী ও ৫,৩১৭ জন ছাত্র। গত বারের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও এ বার বেড়েছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,২৬১ জন। মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। কোনও স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা থাকলে, তা ১২ জানুয়ারির মধ্যে পরিবহণ দফতরে জানালে দফতর নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করবে।”