‘ধূমপান-মুক্ত’ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধূমপান বিরোধী আইন কঠোর ভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের স্বার্থে এই পরামর্শ কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

নীল রঙের দাগ টেনে ধূমপান-মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা। নিজস্ব চিত্র

মাস দু’য়েক আগে পশ্চিম বর্ধমানকে ধূমপানমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্তকে পোক্ত করতে এ বার এগিয়ে এল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশপাশের ১০০ মিটার এলাকা ধূমপান-মুক্ত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ম ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই উপলক্ষে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাঘরে আয়োজিত আলোচনাচক্রে জেলা প্রশাসনের নানা দফতরের আধিকারিকেরা যোগ দেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধূমপান বিরোধী আইন কঠোর ভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের স্বার্থে এই পরামর্শ কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া একশো মিটার এলাকায় কোনও ভাবেই ধূমপান করা যাবে না। এই এলাকার দোকান থেকে তামাক জাতীয় সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্পের তরফে এই উদ্যোগ কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উপাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই রাজ্যে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যারা এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হল। পরের ধাপে ২১টি কলেজে এই নিয়ম চালু করা হবে।’’

এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকার ১০০ মিটার আগে নীল রঙের দাগ দিয়ে ধূমপান-মুক্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেও সেই রকম দাগ কেটে সতর্কতা জারি করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডেপুটি সিএমওএইচ অনুরাধা দেব জানান, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অঞ্চল ছাড়া ধূমপান না করার ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ভাবে আরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা নানা সংগঠন এগিয়ে এলে উদ্যোগ সফল হবে। আবগারি দফতরের জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট তুহিন নাগও বলেন, ‘‘কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সচেতন করে তোলা হলে ধূমপানের খারাপ প্রভাব থেকে তাড়াতাড়ি মুক্ত হবে সমাজ।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement