এডিডিএ অফিসের সামনে।—নিজস্ব চিত্র।
নামে শহরের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু সেখানেই বেহাল পড়ে নিকাশি ব্যবস্থা।
কোথাও নালা উপচে জল এসে গিয়েছে রাস্তায়। তার উপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। আবার কোথাও বহু দিন নর্দমা সাফ না করায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায় নিকাশির পরিস্থিতি এখন এমনই। পুরসভার আশ্বাস, শীঘ্রই নর্দমা সাফ করা হবে।
সিটি সেন্টার এলাকা দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। শহরের বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় সরকারি-বেসরকারি বহু সংস্থার অফিস। নানা কাজে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন এখানে আসেন। কিন্তু পার্কিংয়ের অব্যবস্থা থেকে রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনা, অনেক কিছু নিয়েই সমস্যা রয়েছে। এখন আবার সমস্যা বাড়িয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা।
বাসস্ট্যান্ড, কোর্ট চত্বর, এডিডিএ অফিসের সামনে নিকাশির নানা সমস্যা রয়েছে। যেমন, এডিডিএ অফিসের সামনে নর্দমা ভেঙে গিয়েছে। বহু দিন সাফাই না হওয়ায় নিকাশি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়। তাই অনেক মানুষজন আসাযাওয়া করেন। নর্দমার ঢাকনা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার কিছুটা অংশ আবার ভিতরে ঢুকে যাওয়ায় বিপদ আরও বেড়েছে। জল উপচে আসছে রাস্তায়। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় দিনই যাতায়াত করেন সমীর রায়। তিনি বলেন, “এ রকম একটা জায়গায় নিকাশির এমন অবস্থা, ভাবা যায় না!”
দুর্গাপুর আদালতের পাশে যে নর্দমাটি রয়েছে, সেটিও আবর্জনায় ভর্তি। তা-ও নিয়মিত পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। মহকুমা পরিবহণ দফতরে যেখানে গাড়ি পরীক্ষা করা হয়, তার পাশ দিয়ে গিয়েছে একটি নর্দমা। সেটিও আবর্জনায় ভর্তি। বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে আসা মানুষজন নাকেমুখে কাপড় বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকেন সেখানে। এমনই এক জন বসন্ত গড়াই বলেন, “পাশেই একচি শৌচালয় রয়েছে। সেটিও নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়।”
দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “নিকাশি সমস্যা অনেকটাই মিটে গিয়েছে। যেটুকু রয়েছে তা-ও শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলা হবে।”