রানিগঞ্জের চেলোদ হাইস্কুলের ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবিরে। নিজস্ব চিত্র।
জেলায় শনিবার ২৬টি দুয়ারে সরকারের শিবির আয়োজিত হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কোভিড-পরিস্থিতির মধ্যেও ভিড় উপচে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় প্রশাসনের কর্তারা। তবে, পশ্চিম বর্ধমানে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে অনেকটাই।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের দুয়ারে সরকারের নোডাল অফিসার তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, শনিবার পর্যন্ত শিবির থেকে মোট দু’লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে এক লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭৪ জনই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের আবেদনপত্র পূরণ করেছেন।
ঘটনাচক্রে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার শিবিরে কোভিড-বিধি মেনে চলার কথা বলেছেন। কিন্তু রানিগঞ্জের চেলোদ হাইস্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৮টা থেকে শিবিরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আবেদনপ্রার্থীরা। এক সময়ে ভিড় উপচে পড়ে বলে অভিযোগ। স্কুলের ‘কন্যাশ্রী ক্লাবে’র সদস্যেরা আবেদনপত্র পূরণ-সহ নানা কাজে সহায়তা করেন। তাতেও দূরত্ববিধি মেনে চলা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। রতিবাটি হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে পাঁচ হাজার আবেদনপ্রার্থী শিবির থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় কোভিড-সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ০.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। কোভিড কড়াকড়ির আগে তা ছিল ১৮ শতাংশের আশপাশে। পাশাপাশি, সুস্থতার হার ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৯.০২ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর আবেদন, দুয়ারে সরকারের ভিড় প্রশাসনের আরও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। রাজ্য সরকারের ‘কোভিড মনিটারিং কমিটি’র পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কো-অর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকারের শিবিরে আসা ৯০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছেন না। দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রশাসন কঠোর না হলে সংক্রমণের রেখচিত্র ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।’’ সিপিএম নেতা রুনু দত্ত, বিজেপি নেতা শিবরাম বর্মনদের প্রস্তাব, প্রতিটি ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েতে বুথ স্তরে শিবিরের আয়োজন করা উচিত।
তবে তমোজিৎবাবু বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় সচেতনতা তৈরি করতে লোকশিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। সিভিক ভলান্টিয়ারেরা পদক্ষেপ করছেন।’’