নতুন লাইনে জল মিলবে আট ঘণ্টা

কালনা পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। মাটির তলার থেকে ২৪টি পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দাদের পরিষেবা দিয়ে আসছে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি

পুরনো লাইনে জল পাঠানো বন্ধ করল কালনা পুরসভা। তবে স‌োমবার, পরিষেবার প্রথম দিনেই শহরের বেশ কিছু এলাকায় পর্যাপ্ত জল পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ করে বাসিন্দারা। পুরসভায় এ নিয়ে ক্ষোভও জানান অনেকে। পুরসভার দাবি, পুরনো পাইপ লাইন বিচ্ছিন্ন করে নতুন লাইনে জল পাঠাতে গিয়ে কিছু এলাকায় সমস্যা হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে বেড়েছে জলের গতি।

Advertisement

কালনা পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। মাটির তলার থেকে ২৪টি পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দাদের পরিষেবা দিয়ে আসছে পুরসভা। সংযোগ রয়েছে প্রায় এগার হাজার। এর সঙ্গেই বছর পাঁচেক আগে পুরসভা ভাগীরথীর জলকে পরিস্রুত করে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল গিসেহে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। দু’টি বড় জলাধার ও ১৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নতুন পাইপলাইন পাতা হয়। সম্প্রতি সাড়ে ১৪ হাজার সংযোগ দেওয়ার কাজও শেষ হয়েছে। এর পরে পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, মাটির তলার জল এবং ভাগীরথীর জল পালা করে একটি লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হবে।

দুটি পদ্ধতি চালু রাখার পিছনে পুরসভার যুক্তি, ভাগীরথী ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জলের পরিমাণ কমতে পারে। আবার পাম্পে যান্ত্রিক ত্রুটি হলেও অন্য লাইনের মাধ্যমে জল পরিষেবা দিতে অসুবিধা হবে না। পুরসভা জানিয়েছে, একটি পাইপের মাধ্যমে দু’ভাবে জল সরবরাহ করার কথা মাস দুয়েক আগে লিফলেট বিলি করে জানানো হয়। বর্তমানে ৮ ঘণ্টা করে জল পাবেন শহরের বাসিন্দারা। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পর্যন্ত প্রথম তিন ঘণ্টা ভাগীরথীর দূষণমুক্ত জল ও পরের এক ঘণ্টা ভূর্গভস্থ জল পৌঁছবে। দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত পৌঁছবে মাটির তলার জল। বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্তও সই জলই দেওয়া হবে।

Advertisement

তবে প্রথম দিনের পরিষেবায় ভাদুরিপাড়া, লক্ষ্মণপাড়া এলাকায় সমস্যা হয়। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ নিজেও একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘বেশির ভাগ বাড়িতেই বাসিন্দারা নতুন লাইনের সঙ্গে পুরনো লাইনের সংযোগ করে রেখেছেন। ফলে নতুন লাইনে জল পাঠালেও তা ঢুকে পরছে পুরনো লাইনে। ফলে গতি কমে যাচ্ছে। প্রত্যেককে দুটি আলাদা লাইন করতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement