Paddy

বাংলাদেশি ধানের চাষে বাড়ছে ফলন, ‘সবুজ বিপ্লবে’ সাফল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের

স্থানীয় কৃষকেরা জানাচ্ছেন, ফতেমা জাতের ধানগাছে রোগ এবং পোকার আক্রমণ কম। অন্যান্য ধানের শিষ যেখানে ২০০ থেকে ২৫০টি ধানের দানার সংখ্যা হয়, সেখানে ফতেমা জাতের ধানের শিষে দানার সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৩৭
Share:

বাংলাদেশি ধান চাষ করে অন্যান্য ধানের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশি ফতেমা জাতের ধান চাষে সাফল্য মিলেছে রাজ্যের ‘শস্যগোলা’ পূর্ব বর্ধমানে। জেলার ভাতার এলাকায় এই ধান চাষ করে অন্যান্য ধানের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ অনেকটাই কম হওয়ায় খুশি ভাতারের কৃষকেরা।

Advertisement

স্থানীয় কৃষকেরা জানাচ্ছেন, ফতেমা জাতের ধানগাছে রোগ এবং পোকার আক্রমণ কম। অন্যান্য ধানের শিষ যেখানে ২০০ থেকে ২৫০টি ধানের দানার সংখ্যা হয়, সেখানে ফতেমা জাতের ধানের শিষে দানার সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০টি। ভাতারের কৃষক শেখ আব্দুল হানিফ জানান, ফতেমা প্রজাতির ধান বাংলাদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। নাম শুনে তিনি তাঁর আত্মীয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। প্রায় দু’বিঘে জমিতে ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘‘অন্যান্য ধানের চেয়ে ফাতেমার ফলন প্রায় দ্বিগুণ। রোগ, পোকার আক্রমণ কম। স্বল্প সেচে, স্বল্প সময়ে ধান পাওয়া যায়। এই ধানের চালের ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু।’’ তিনি এলাকার অন্যান্য কৃষকদের এই ধান চাষ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে জেলা কৃষি যুগ্ম আধিকারিক আশিসকুমার বারুই বলেন, ‘‘বাংলাদেশি প্রজাতির ধান চাষের ঘটনা শুনেছি। তবে এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement