সেচের জলের সমস্যা মেটাতে নতুন চেকড্যাম মলানদিঘিতে

বর্ষায় এলাকা চলে যায় জলের তলায়। কিন্তু বোরো চাষের সময় জল মেলে না। কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্টুপুর গ্রামে এই সমস্যায় প্রতি বছর ভোগেন চাষিরা। বুধবার সেখানে চেকড্যামের শিলান্যাস করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। সেটি তৈরি হলে চাষিদের সুবিধে হবে বলে তাঁরা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

জায়গা দেখছেন মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষায় এলাকা চলে যায় জলের তলায়। কিন্তু বোরো চাষের সময় জল মেলে না। কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্টুপুর গ্রামে এই সমস্যায় প্রতি বছর ভোগেন চাষিরা। বুধবার সেখানে চেকড্যামের শিলান্যাস করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। সেটি তৈরি হলে চাষিদের সুবিধে হবে বলে তাঁরা জানান।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় সেচখালের সমস্যা রয়েছে। বর্ষার সময় বহু জমি ডুবে যায়। সেই জল নেমে যাওয়ার পরে চাষের কাজের জন্য আর জল পাওয়া যায় না। এই সমস্যা নিয়ে বারবার বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, গ্রামের পাশ দিয়ে গিয়েছে টুমনি খাল। বর্ষার সময় তাতে প্রচুর জল থাকলেও, বছরের অন্য সময়ে শুকিয়ে যায়। খালটির উপর চেকড্যাম তৈরির দাবি জানান বাসিন্দারা। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধটি তৈরি হচ্ছে। তাতে প্রায় ৯০০ একর জমি উপকৃত হবে। কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপবাবু জানান, এই এলাকায় বর্ষার সময় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিছু দিন পরে জল নেমে গেলেও, সেই জল চাষের কাজে লাগানো যায় না। এই চেকড্যামটি তৈরি হলে সেই জল ধরে রাখা যাবে। আর চাষ মার খাবে না। মন্ত্রী স্বপনবাবু জানান, এই চেকড্যামে মাছ চাষও করা হবে। এলাকার বেকারদের অনেক সুবিধা হবে। এ ছাড়া এলাকার জমি তিনফসলিতে রূপান্তর হবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা, কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement