দুর্গাপুরে শ্রমিক মেলায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ছবি: বিকাশ মশান।
ফের চর্চায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে, তৃণমূল থাকলে সর্বভারতীয় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়াতে’ তাঁরা থাকছেন না বলে রবিবার স্পষ্ট জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী।
রবিবার ডিএসপির নেহরু স্টেডিয়ামে সিটু অনুমোদিত ‘হিন্দুস্তান স্টিল এসপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ ‘শ্রমিক মিলনোৎসব’ আয়োজন করে। সেখানে যোগ দেন নওসাদ। বলেন, “যে দলের দ্বারা আমাদের কর্মীরা খুন হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যাঁদের হাতে আমাদের কর্মীদের রক্ত লেগে আছে, যাঁদের হাতে রাজ্যের গণতন্ত্র লুণ্ঠিত, তাঁদের সঙ্গে আমরা নেই। আমরা আমাদের মতো করে লড়ব।” এর পরেই তাঁর সংযোজন: “তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে থাকলে, আমরা থাকব না।”
রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা দেখা গিয়েছে। সিপিএম ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির সঙ্গে লড়ার মঞ্চ ‘ইন্ডিয়াতে’ তারা থাকছে। কিন্তু সেই মঞ্চে থাকা অন্যতম দল তৃণমূলের সঙ্গে লোকসভা ভোটে রাজ্যে কোনও রকম জোট-সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতিতে নওসাদের বক্তব্য রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে নওসাদের দল আইএসএফ, কংগ্রেস ও বামেদের আসন সমঝোতা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূলও। দলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “তৃণমূল রাজ্যে ও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গেলড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় রয়েছে। সেখানে কে আমাদের সঙ্গে থাকবেন বা থাকবেন না, কারা বিজেপির সঙ্গে লড়তে আন্তরিক ভাবে আগ্রহী, সেটা সেই সব দলগুলির বিষয়।”
এ দিকে, এ দিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ও তাঁর জুনিয়রেরা। এ দিন ওই প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য, “এক জন কেউ এসে বলুন, আমাকে টাকা দিয়েছিলেন। কুণালবাবু বললেন, আমার কোনও সহকারীকে টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই সহকারীও বলছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আসলে আমাকে মামলা থেকে সরাতে, কালিমালিপ্ত করতে এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে।”