প্রতীকী ছবি।
পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল বছর সাতেকের শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার মাধবপুর কয়লাখনি এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। স্নিফার ডগ নামিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম সৌরভ বাউড়ি। গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। নিখোঁজ হওয়ার পর দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এর পর রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে সৌরভের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, শিশুর হাত ও পায়ের কব্জি কেটে নেওয়া হয়েছে। শিশুর মুখে অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছোড়া হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও পুলিশের তরফে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্ত জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই সব জানা যাবে।
মৃত শিশুর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ খেলতে বেরিয়েছিল সৌরভ। সন্ধ্যার পরেও সে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। রাতভর খোঁজ করেও তার খোঁজ না পাওয়ায় শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। পরিবারের অভিযোগ, ছেলে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করতে এসেও পুলিশের সহযোগিতা মেলেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্ডালের কেসি পাল এলাকার এক মহিলা পরিবারকে জানান, সৌরভকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ওই মহিলাকেই পুলিশের হাতে তুলে দেয় সৌরভের পরিবার। কিন্তু পুলিশ ওই মহিলাকে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ছেড়ে দেয় বলে দাবি পরিবারের। এ নিয়ে শুক্রবার অন্ডাল থানায় বিক্ষোভ দেখান সৌরভের পরিবার এবং পড়শিরা। যদিও পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
রবিবার শিশুর দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ এলাকায় এলে তাদের ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তা নজরে রেখেই মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্ত জানান, শিশু খুনের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কয়েক জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।