দুর্ভোগের পথ, দাবি ঢালাইয়ের

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এখানে প্রায় বারোশো মানুষের বাস। তবে, গ্রামের রাস্তায় দীর্ঘদিন কোনও কাজই হয়নি। ফলে, সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০০:৪৩
Share:

এ ভাবেই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

বর্ষার শুরুতেই জল থইথই রাস্তা। কাদা-জলে একটু অসতর্ক হলেই পিছল রাস্তায় আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা! বছরের পর বছর বর্ষায় এ ভাবেই কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ মঙ্গলকোটের গোতিষ্ঠা পঞ্চায়েত এলাকার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের ক্ষোভ, এ সময়ে কোনও আত্মীয় গ্রামে আসতে চান না। আর কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে তো কথাই নেই! কাঁধে করে এক কিলোমিটার নিয়ে গিয়ে তবে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠাতে হয়। অবিলম্বে গ্রামের রাস্তা ঢালাই করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের তরফেও শীঘ্রই কাজ শুরুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এখানে প্রায় বারোশো মানুষের বাস। তবে, গ্রামের রাস্তায় দীর্ঘদিন কোনও কাজই হয়নি। ফলে, সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে বার বার বলেও কাজ হয়নি।’’ সম্প্রতি (১২-১৮ জুন) রাজ্য জুড়ে পালিত হল গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ। তখন রাজ্যে কয়েক হাজার কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছে। এই গ্রামেও ঢালাই রাস্তা হবে বলে আশা করেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁদের আক্ষেপ, “গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহে এক ঝুড়ি মোরামও পড়ল না।” গৃহবধূ অঞ্জু ঘোষ বলেন, “বর্ষায় একহাঁটু কাদায় হাঁটাচলা করতে হয়। আশ্বিন মাস পর্যন্ত তা চলে। ওই সময়ে গ্রামে কোনও অনুষ্ঠান করা যায় না। কারণ, বাইরে থেকে কোনও আত্মীয় আসতে চান না”। তাঁর আক্ষেপ, “সারা রাজ্যে এত উন্নয়ন হচ্ছে। অথচ, তার ছিটেফোঁটাও এই গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।” গ্রামবাসী শান্তিরাম ঘোষের অভিযোগ, “বর্ষায় গ্রামে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না। কারও শরীর খারাপ হলে তাকে কাঁধে করে এক কিলোমিটার নিয়ে গিয়ে তার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপাতে হয়।” জানা গিয়েছে, ফি-বছর বর্ষায় গ্রামের মানুষেরাই রাস্তায় ইটের কুচি ফেলেন। এ বারও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা না নিলে নিজেদের উদ্যোগেই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে জানান কালাচাঁদবাবু।

গ্রামের তৃণমূল নেতা রহিম শেখের অবশ্য দাবি, বর্তমান পঞ্চায়েত বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে রাস্তায় মোরাম দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত থেকে গ্রামের রাস্তা ঢালাই করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ঠিকাদারকে রাস্তা তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ না করাতেই সমস্যা বেড়েছে। স্থানীয় গোতিষ্ঠা পঞ্চায়েতের প্রধান ভাগ্যধর ঘোষের অবশ্য আশ্বাস, “খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement