উদ্বোধন বর্ধমানে। নিজস্ব চিত্র।
অতিরিক্ত টিকা মিলতেই ফের বড়সড় টিকা-অভিযান করতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন ৫০ হাজার করে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে এ দিন প্রায় ৪৫ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, কুপনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ‘‘টানা তিন দিন ৫০ হাজার করে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর টিকা দিতে প্রস্তুত।’’
গত ৩১ অগস্ট জেলায় বিশেষ টিকাকরণ হয়। সে বার ২১৬টি কেন্দ্র থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পান। তবে টিকা পেতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগও ওঠে। ভিড়, ভোর থেকে লাইন পড়ে। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। এর পরে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জনের বেশি টিকা দেওয়া হবে না। শিবির বাড়ানোয় জোর দেওয়া হয়। শুক্রবার জেলায় ২৬৬টি টিকাকেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে সিএমওএইচ জানান।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, যাঁরা টিকা পাননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি গিয়ে কুপন দিয়ে আসবেন। একটি কুপন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্য, আর একটি তদোর্ধ্বদের জন্য। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (জনস্বাস্থ্য) বাগবুল ইসলাম বলেন, ‘‘শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় মিলে প্রায় ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার জন টিকা পেয়েছেন। টানা তিন দিনে আরও দেড় লক্ষ মানুষ টিকা পাবেন। জোগান স্বাভাবিক থাকলে প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার টিকা দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।’’
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ প্রকল্প শুরু করেছে বর্ধমান পুরসভাও। শুক্রবার পুর-প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়, আইনুল হক, শঙ্খশুভ্র ঘোষেরা এর উদ্বোধন করেন। একটি ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুল্যান্স বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রতিবন্ধীদের টিকা দেবে। পুর এলাকায় টিকাকরণ শিবির বাড়ানোরও ঘোষণা করা হয় এ দিন। বর্ধমান পুরসভা থেকে গড়ে দিনে সাতশো টিকা দেওয়া হত। টিকাকেন্দ্র ছিল ১০টি। এ দিন আরও ১১টি কেন্দ্র খোলে পুরসভা। তবে একটি কেন্দ্রে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলায় ২০টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হয়। পুর-প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টিকাকেন্দ্র বাড়ছে। প্রতিবন্ধীদের বাড়ি গিয়েও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যাঁরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি, সে তালিকা ধরে দুয়ারে গিয়ে টিকাকরণ হবে।’’ পুরসভার চিকিৎসক হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুল্যান্সে পাঁচ জনের দল পরিষেবা দেবে।’’