কালনায় আবাসনের পুকুরে পরিযায়ী পাখি। —নিজস্ব চিত্র।
ছাড়িগঙ্গা কচুরিপানায় ঢেকে থাকায় পরিযায়ী পাখিরা ফিরে যাচ্ছে। অন্য দিকে কালনা শহরেরই সরকারি কর্মীদের আবাসনের ভিতরে থাকা একটি পুকুরে ভিড় জমাতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখিরা। মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বনজঙ্গলে ঘেরা পুকুরটি ঘন শ্যাওলায় ভরা।আবাসনের পিছনের অংশে পুকুরটি থাকায় কোলাহলও তেমন নেই। সেখানেই দিব্যি জলে ভেসে বেড়াচ্ছে পাখিদের দল। সামান্য আওয়াজ হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাচ্ছে দূর আকাশে।
সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, আগে কখনও এই পুকুরে পরিযায়ী পাখিদের দেখা যায়নি।সরকারি আবাসনের পাম্প অপারেটর গোপাল সাহা বলেন, ‘‘ভোর হতেই পাখিদের দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যা নামার আগে পর্যন্ত কলতান শোনা যাচ্ছে। কেউ যাতে ওদের বিরক্ত না করে সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’ আবাসনে থাকা কয়েক জন সরকারি আধিকারিক জানান, পাখি শিকার অথবা কেউ তাদের বিরক্ত করতে এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু পাখিরা হঠাৎ এখানে কেন? বন দফতরের কাটোয়ার রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিংহের দাবি, নিজেদের নিরাপত্তা এবং মনের মতো পরিবেশ না পেলে পরিযায়ী পাখিরা দ্রুত সেই এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যায়। এই পুকুরটিতে মনের মতো পরিবেশ পাচ্ছে বলেই পাখিরা ভিড় জমাচ্ছে। ওই পুকুরটিতে কী ধরনের পাখি এসেছে তা জানতে পরিদর্শন করা হবে বলেও জানান তিনি। ছাড়িগঙ্গায় পরিযায়ী পাখিদের জন্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গেলে কিছুটা কচুরিপানা মুক্ত করতে হবে, দাবি তাঁর।