এই সেই ইট। নিজস্ব চিত্র
ব্যবহৃত প্লাস্টিক না ফেলে তা থেকে ইট তৈরি করে দেখালেন মেমারির পাল্লা রোডের একটি ক্লাবের সদস্যেরা। তাঁরা জানান, বালির সঙ্গে ওই প্লাস্টিক মিশিয়ে উচ্চ তাপে গলিয়ে পেস্ট করে ছাঁচে ঢেলে ইট তৈরি করা হয়েছে। এ ভাবে প্লাস্টিক জমিয়ে ইট বা টালি তৈরি করা গেলে দূষণ কমবে, মজবুতও হবে, তাঁদের দাবি।
সম্প্রতি মেমারি ১ ব্লক কৃষিমেলায় তিন কেজি প্লাস্টিকের বদলে এক কেজি পেঁয়াজ বিলি করে ওই ক্লাব। জমা হয় বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক। ক্লাবের পাশেই বস্তায় রাখা ছিল তা। এর মধ্যেই ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় হয় জামালপুরের বাসিন্দা, অধুনা জার্মানি নিবাসী রাজু হালদারের। তিনি পরামর্শ দেন, এক বার ব্যবহার করা প্লাস্টিক দিয়ে ‘ফুট টাইলস’, ফুলের টব, ইট তৈরি করা সম্ভব। রবিবার ওই ক্লাব প্রাঙ্গনে ইট তৈরি করেও দেখান তিনি। রাজুবাবুর দাবি, ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার বা কারখানায় নতুন জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ইট বা টালি তৈরি হলে তা কমে নিদিষ্ট জায়গায় জমা হবে। এই ইট মাটির ইটের থেকে বেশি শক্ত এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধক হবে বলেও তাঁর দাবি।
ক্লাবের সম্পাদক সন্দীপন সরকার বলেন, ‘‘এত দিন সমাজকে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। এ বার ব্যবহৃত প্লাস্টিক ইট, টব, ফুট টাইলস কী ভাবে সরকারি সহায়তায় তৈরি করা যায় ও বেকারদের কর্মসংস্থান হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হব।’’