বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে গণবিবাহের আসর। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের আয়োজনে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। বেলা গ়ড়াতেই আলো ঝলমলে সাজানো মণ্ডপে একে একে হাজির পাত্র-পাত্রী, আত্মীয়-পরিজন। ছিলেন পুরোহিত, কাজী এবং পাদ্রিরাও। মঙ্গলবার বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে একসঙ্গে ছাদনাতলায় বসলেন ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রী। নবদম্পতিদের উপহার ছাড়াও বিলি করা হয়েছে এক মাসের রেশন।
মঙ্গলবারের গণবিবাহের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। আয়োজকদের দাবি, রাজ্যে এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় গণবিবাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরাও। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়, রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশসুপার কামনাশিস সেন। ছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ বহু বিধায়ক।
গত আট বছর ধরেই বর্ধমানে গণবিবাহের আয়োজন করছেন খোকন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ১৫ জন মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ১ জন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীও ছিলেন। প্রত্যেকেই নিজের ধর্ম মতে বিয়ে সেরেছেন।
গণবিবাহ হলেও আয়োজকেরা জাঁকজমকে খামতি রাখেননি। বিয়ের খরচ বহন করা ছাড়াও দম্পতিদের দেওয়া হয় সোনার আংটি ও নাকছাবি। রঙিন টেলিভিশন সেট, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন-সহ দানসামগ্রী। সঙ্গে বিমার পলিসি। চাল-আলু-আটা থেকে এক মাসের মতো রেশন। এ ছাড়াও পাত্র-পাত্রী, দু’পক্ষের ৫০ জন আত্মীয়ের ভূরিভোজের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।