বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বধূকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল পাড়ারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তাঁর বাবা, মা। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের বিধাননগরের হাউসিং কলোনির ঘটনা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবক রঞ্জিত পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাবা অসুস্থ হওয়ায় সম্প্রতি বাপের বাড়িতে ছিলেন ওই বধূ। এ দিন সকাল সওয়া ছ’টা নাগাদ বাড়িতে ‘কলিং বেল’ শুনে পরিচারিকা এসেছে ভেবে ওই বধূ দরজা খোলেন। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে ছুরি হাতে রঞ্জিত হামলা চালায়। বধূর চিৎকারে তাঁর বাবা-মা এলে তাঁদের হাতেও ছুরির কোপ লাগে। চিৎকার শুনে আসেন পড়শিরা। এর পরেই চম্পট দেন রঞ্জিত। রক্তাক্ত বধূ ও তাঁর বাবা-মা’কে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাবা-মা’কে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওই বধূকে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ যায়। মহিলার স্বামী জানান, তাঁদের ২০১৫-য় বিয়ে হয়েছে। ওই বধূ পুলিশকে জানান, ২০১৩-য় রঞ্জিত বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি না মানায় তাঁর কর্মস্থলে গিয়েও চিৎকার-চেঁচামেচি করে রঞ্জিত। বিয়ের পরে ফোন করে সংসার ছেড়ে এসে তাকেই বিয়ে করার ‘প্রস্তাব’ দেয় রঞ্জিত, অভিযোগ বধূর। এর পরে নিষেধ করায় মাঝে কিছু দিন ওই যুবক আর উত্ত্যক্ত করেননি, এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। গত মঙ্গলবার পাড়ার একটি সমস্যার বিষয়ে দু’জন মহিলাকে নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন ওই বধূ। সেখানে যায় রঞ্জিতও। তখন ওই যুবকের আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিয়ের প্রস্তাবে ‘প্রত্যাখ্যাত’ হয়েই হামলা চালিয়েছে রঞ্জিত। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের এত দিন পরে কেন এই ঘটনা, সে দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা। পুলিশ জানায়, ধৃতকে জেরা করে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।