COVID-19

বাজার-রাস্তা ফাঁকা, বাড়ছে করোনা-ভীতি

গত তিন দিনে বর্ধমান শহরের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, মানুষ স্বেচ্ছায় ঘরে ‘বন্দি’ করেছেন নিজেদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২২
Share:

সুনসান কার্জন গেট চত্বর। নিজস্ব চিত্র

গত বছর লকডাউন সফল করতে পথে নামতে হয়েছিল পুলিশকে। করোনার দ্বিতীয় পর্বে লাগাতার প্রচারে শহরবাসীর একাংশের ‘হুঁশ’ ফেরেনি। ‘বিধি ভাঙা’ চলছে সর্বত্র। কিন্তু গত তিন দিনে বর্ধমান শহরের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, মানুষ স্বেচ্ছায় ঘরে ‘বন্দি’ করেছেন নিজেদের।

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরে দেড়শোর উপরে করোনা আক্রান্তের মিলছে প্রতিদিন। বিভিন্ন নার্সিংহোম, হাসপাতালে রোগী ভর্তি বাড়ছে। বেশ কয়েকজনও মারা গিয়েছেন। সেই ‘ভয়ে’ই বোধহয় সকাল-সন্ধ্যা সুনসান শহরের অলিগলি থেকে রাজপথ। বৃহস্পতিবার রাস্তায় টোটো, বাস দেখা গেলেও যাত্রী বেশি ছিল না। স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশের দাবি, ভয় বা সচেতনতা যে কারণেই হোক না কেন, মানুষ ঘরে থাকলে আক্রান্ত কমবে।

সপ্তাহখানেক আগেও দোকান, বাজারের ভিড়ে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। চৈত্র সেলের সময়ে বিসি রোডে মাস্ক না পরা, গায়ে-গায়ে কেনাকাটা করাটাই কার্যত দস্তুর হয়ে গিয়েছিল। এখন শহরের বিসি রোডের দোকান, শপিংমলগুলিতে মাছি তাড়ানোর মতো অবস্থা! জেলা পুলিশের একাধিক কর্তার দাবি, চেনা ভিড়, যানজট গত তিন ধরে উধাও। যে বিসি রোড, কার্জন গেট চত্বরে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা, সেখানেও হাতে গোনা লোক দেখা গিয়েছে। ফাঁকা ছিল পারবীরহাটা এলাকাও। অথচ, পারবীরহাটা থেকে রায়না, খণ্ডঘোষ, জামালপুর, বাঁকুড়া, হুগলি যাওয়ার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন। বিসি রোডের বেশ কয়েকজন হকার দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে দিয়েছেন। তাঁদেরই এক জন রঞ্জন গুছাইত বলেন, “কোনও খদ্দের নেই। দোকান চালানোরও দৈনন্দিন খরচ উঠছে না!” রাজগঞ্জের বাসিন্দা তপতী কোলেও বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগেও রোজই কিছু না কিছু কিনতে বাজারে গিয়েছি। এখন আর ভয়ে বেরোচ্ছি না।’’

Advertisement

ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের কর্ণধার বিশ্বেশ্বর চৌধুরী বলেন, “মানুষের মনে আতঙ্ক ধরেছে ভালই বুঝতে পারছি। আমরাও সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছি।’’ রাস্তায় বাস তুলনামূলক ভাবে কম চলছে বলে জেলা বাস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, অন্তত ২০ শতাংশ বাস কম চলছে। আজ, শুক্রবার থেকে আরও কম বাস রাস্তায় নামবে বলে মনে হচ্ছে। ওই সংগনের অন্যতম কর্তা তুষার ঘোষের দাবি, “একে রাস্তায় মানুষজন নেই। তার উপরে কর্মীরাও ভয়ে বাস চালাতে চাইছেন না।’’ টোটো চালকদের একাংশের দাবি, গত তিন দিন ধরে কার্যত যাত্রী মিলছে না।

চিকিৎসকদের দাবি, এই সময় অকারণে বাইরে বেরনো একদম ঠিক নয়। রাস্তায় ভিড় কম থাকলে সংক্রমণেও নিয়ন্ত্রণ আসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement