Bardhaman

Bardhaman: লকডাউনের জের, কর্মহীন বর্ধমান স্টেশনের মালগুদামের বহু শ্রমিক

শ্রমিক গঙ্গা দাস বলেন, “এই মুহূর্তে মালগুদামে লোডিং ও  আনলোডিং সব মিলিয়ে ২৫০০ জন মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ২০:২৪
Share:

বর্ধমান মালগুদাম। নিজস্ব চিত্র।

আংশিক লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন বর্ধমান মাল গুদামের শ্রমিকরা। আংশিক লকডাউনের ফলে পণ্য পরিবহন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে বর্ধমান মালগুদামে বিভিন্ন পর্যায়ে আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সেই শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বিকল্প পথে রোজগার করে সংসার চালাচ্ছেন অনেকেই।

Advertisement

মালগুদামের সুপারভাইজার অজয় সিংহ বলেন, “এই মুহূর্তে ঠিকাদাররা কোনও মাল বুকিং করছেন না। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন,এই লকডাউনে পণ্য পরিবহণের জন্য বিভিন্ন রকম সরকারি ছাড়পত্রের প্রয়োজন। সে জন্য পিছিয়ে আসছেন অনেকে। ফলে ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক গঙ্গা দাস বলেন, “এই মুহূর্তে মালগুদামে লোডিং ও আনলোডিং সব মিলিয়ে ২৫০০ জন মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সংসার চালানোর জন্য তাঁরা কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ বা ফল। আবার অনেকে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করছেন। তাঁর কথায়, “এ ভাবে চলতে থাকলে অনেক শ্রমিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়বেন।” এর পরই গঙ্গা দাবি করেন, অবিলম্বে এই মালগুদামের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

Advertisement

মালগুদামের শ্রমিক পরদেশী রাম, রঘু পাসোয়ানদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে তাঁরা সংসার চালাতে করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবারে সঠিক ভাবে খাবার যোগাতে পারছেন না। বিভিন্ন জায়গায় দুঃস্থ মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখানে ঠিকাদার থেকে শুরু করে কোনও সংস্থাই তাঁদের কোনও রকম সহযোগিতা করেনি।

অনিশ্চয়তাই এখন তাঁদের নিত্যসঙ্গী। কবে এর অবসান হবে জানেন না কেউই। কবে আবার বর্ধমান স্টেশনের মালগুদাম ছন্দে ফিরবে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement