গোঁফ বড় গর্বের দাশরথির কাছে। নিজস্ব চিত্র
সুকুমার রায়ের শ্যামবাবুদের গয়লার মতো বিচ্ছিরি আর ময়লা গোঁফ নয়। ঝকঝকে গোঁফ পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুনের বাসিন্দা দাশরথি ভট্টাচার্যের। এই গোঁফ তাঁর অহঙ্কার। গর্ব তাঁর পরিবারের, এমনকি এলাকারও। সেই গর্ব যাতে কোনও ভাবে খর্ব না নয় তাই কাঁচি বাড়িতে রাখেন না দাশরথি।
বছর ষাটেকের দাশরথি পেশায় গৃহশিক্ষক। পাশাপাশি পূজার্চনাও করেন। তবে এখন তাঁর প্রেম এবং পুজো দুটোই গোঁফ নিয়ে। তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এলাকায় তাঁর পরিচয় ‘গোঁফ মাস্টার’ নামে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর শখ ছিল লম্বা গোঁফ রাখার। বড় হয়ে সেই শখ পূরণে মেতে ওঠেন দাশরথি। এখন তাঁর গোঁফ লম্বায় ৩ ফুট। এলাকার সকলেই চেনেন এই কীর্তিমানকে। খ্যাতি এমনই ছড়িয়েছে যে, অচেনা কেউ পাড়ায় ঢুকে তাঁর বাড়ি খুঁজলে সকলে একবাক্যে দেখিয়ে দেন দাশরথির ভিটে।
দাশরথি বলেন, ‘‘প্রথম প্রথম আমার এই গোঁফ দেখে অনেকেই মজা করত। স্ত্রী-ও অভিমান করত। গোঁফ কাটতে বলত। কিন্তু আমার বড় গোঁফ রাখার শখ দেখে আর কেউ আপত্তি করেনি।’’ সরষে এবং নারকেল তেল দিয়ে গোঁফের পরিচর্যা করেন দাশরথি। তাঁর প্রতিজ্ঞা, আমৃত্যু তিনি গোঁফে কাঁচি ঠেকাবেন না। এক সময় স্বামীর এই গোঁফ হয়ে উঠেছিল দাশরথির স্ত্রী রেণুকার অভিমানের কারণ। এখন অবশ্য তাঁর কাছে এ বড় গর্বের পরিচয়।