ফুটওভার ব্রিজ ছেড়ে রেললাইনেই যাতায়াত, ট্রেনে উঠতে গিয়ে জখম

বুধবারও মহম্মদ ইকবাল নামে বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ় লাইন পেরিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে গুরুতর জখম হন। পরে রেলপুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করায় বিহারের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৩
Share:

বুধবার জখম প্রৌঢ়। নিজস্ব চিত্র

আড়েবহরে বেড়েছে কাটোয়া স্টেশন। প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাত। জংশন স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিক এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেন চলে। যাত্রীদের চাপও থাকে ভাল। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের অধিকাংশই তা ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ। ঝুঁকি নিয়ে প্ল্যাটফর্ম পারাপার করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনাও।

Advertisement

বুধবারও মহম্মদ ইকবাল নামে বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ় লাইন পেরিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে গুরুতর জখম হন। পরে রেলপুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করায় বিহারের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়কে। রেল পুলিশ জানায়, দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ বর্ধমান থেকে কাটোয়া স্টেশনে পৌঁছন তিনি। ট্রেন থেকে নেমেই লাইন ধরে প্ল্যাটফর্ম বদল করতে গিয়ে পাথরের উপর পড়ে যান। রক্তাক্ত দুই পা নিয়ে কোনও রকমে দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যান্ডেলগামী একটি লোকাল ট্রেনে ওঠেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আবার যাত্রীদের একাংশের মতে, কারশেড থেকে আসা ট্রেনের দরজায় পা ঝুলিয়ে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই দুই হাঁটুতে চোট পান তিনি।

স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, দিন দু’য়েক আগে স্টেশনে বিশেষ নজরদারি চালানোর সময়েই নিয়ম ভাঙার ছবি চোখে পড়ে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটের ট্রেন দু’নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়তেই তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের একটা বড় অংশকে লাফ দিয়ে রেললাইনে নামতে দেখা যায়। প্ল্যাটফর্ম পারাপার করতে গিয়ে পড়েও যান অনেকে।

Advertisement

কাটোয়া আদর্শপল্লীর বাসিন্দা, নিত্যযাত্রী অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘‘রেলের তরফে ক্রমাগত প্রচার করা হয়, ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া যেন রেললাইন পারাপার না করা হয়। কিন্তু কে, কার কথা শোনে। অনেক শিক্ষিত মানুষকেও দেখি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন না। ঝুঁকি নিয়েই লাইন পারাপার করেন। রেলকে আরও কড়া মনোভাব নিতে হবে।’’

কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজার অরূপ সরকারের দাবি, ‘‘ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করার জন্য আমরা সব সময়ই মাইকে প্রচার করি। জিআরপি কোন কোন সময় ধরপাকড় করে। কিন্তু যাত্রীরা সচেতন না হলে মুশকিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement