—প্রতীকী চিত্র।
রাত ১০টা। সাইকেল বস্তা চাপিয়ে রাজবাড়ি বাসস্টপের দিক থেকে যাচ্ছিলেন মাঝবয়সী এক ব্যক্তি। রাস্তায় তাঁকে আটকায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, মেমারির কুচুট গ্রামের ওই ব্যক্তির বস্তায় ২৫ কেজিরও বেশি গাঁজা মিলেছে। পরে গ্রেফতার করা হয় কায়স্থপাড়ায় বাসিন্দা রামপ্রসাদ পাত্রকে।
মেমারি থানার দাবি, ওড়িশার পালিবাদা এলাকা থেকে ২৫ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা নিয়ে গ্রামে ঢুকেছিলেন রামপ্রসাদ। খবর পেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় জাল পাতে পুলিশ। গ্রামে ঢোকার পরে তাঁর পিছু নেওয়া হয়। বাড়ির কাছে আসতেই ধরা হয়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, রামপ্রসাদের মূল ব্যবসা দুধ বিক্রি। গোটা আটেক গরু রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, এর আড়ালেই গাঁজা বিক্রি করেন তিনি। সম্প্রতি দোতলা দু’টি বাড়িও করেছেন। পুলিশের দাবি, জেরায় রামপ্রসাদ তাদের জানান, ১০ বছর ধরে গাঁজা ব্যবসায় যুক্ত তিনি। শনিবার বিডিও (মেমারি ২) অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর উপস্থিতিতে তল্লাশিও চালানো হয় বাড়িতে।
পুলিশের দাবি, প্রথমে এখান-সেখান থেকে গাঁজা এনে বিক্রি করতেন তিনি। এখন গাঁজা বিক্রি চক্রের অন্যতম ‘চাঁই’ তিনিই। ওড়িশার পালিবাদ ছাড়াও জলেশ্বর থেকে গাঁজা এনে বাড়িতে মজুত করে পূর্বস্থলী, কালনা, মেমারির বিভিন্ন জায়গায় তিনি পাচার করতেন, জেনেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রামে কয়েকজন ‘এজেন্ট’ রয়েছে। তারাই বাড়ি থেকে দুধ নেওয়ার নাম করে সাইকেলে গাঁজা নিয়ে যেত। তাদের খোঁজ চলছে। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।
ওসি (মেমারি) সুদীপ্ত মুখোপাধ্যােয়র দাবি, রামপ্রসাদের ছোট জামাই ওড়িশার পালিবােদ থাকেন। তাঁর মাধ্যমেই তিন গাঁজা কারবারির সঙ্গে রামপ্রসাদের যোগাযোগ। পুলিশের দাবি, প্রতি মাসে দু’বার করে মূলত ছোট যাত্রিবাহী গাড়িতে করে ওড়িশা থেকে গাঁজা আসে কুচুটে। করোনা পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও সম্প্রতি ট্রাকে ছোট ছোট বস্তায় গাঁজা আনা শুরু হয়। বর্ধমানে ঢোকার মুখে ট্রাক থেকে বস্তা নামিয়ে বাইকে মেমারি আনা হয়। মাঝে বাইক পাল্টায়। তার পরে সাইকেলে বস্তা পৌঁছে যায় কুচুটে।