—ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পরে, ফের আগামী ৮ ডিসেম্বর সরকারি কর্মসূচি উপলক্ষে জেলা সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। রানিগঞ্জের সিহারসোল মাঠে আয়োজিত ওই সরকারি কর্মসূচিস্থল ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি ও আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন। জেলা প্রশাসন জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদান করার কথা রয়েছে। মুক্তমঞ্চ থেকে বাসিন্দাদের জন্য সরকারি নানা প্রকল্পের বিষয়েও কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে এ বার কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়নি। তবে জেলার বিভিন্ন দফতরের কাজের অগ্রগতির খতিয়ান তৈরি করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী কোনও দফতরের কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে, তা যাতে যথাযথ ভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, খনি অঞ্চলে ধস কবলিতদের পুনর্বাসনের জন্য বারাবনির দাসকেয়ারিতে কয়েক হাজার বহুতল বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সেগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা মমতার। পাশাপাশি, অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর লাগোয়া অঞ্চলের কিছু বাসিন্দাকে জমির পাট্টাও তুলে দিতে পারেন তিনি।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসার অপেক্ষায় যাবতীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।’’ প্রশাসনের কর্তারা জানান, সিহারসোলে দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। এ পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, তিনি দশটি সরকারি প্রকল্পের অন্তর্গত ২৫ জন উপভোক্তাকে পরিষেবা প্রদান করবেন। কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধনও করবেন। রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কয়েকটি স্টলও বসানো হবে। তবে আগামী ৭ তারিখ মেদিনীপুর শহরে সভা সেরে ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসবেন, না কি ৮ তারিখ সকালে, তা নিয়ে এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কাছে কোনও খবর নেই। যদিও প্রশাসনের কর্তারা জানান, দুর্গাপুরের সার্কিট হাউজ় প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবরে তৃণমূলের তরফে সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্লক ও পুরসভা এলাকা থেকে সভাস্থলে লোক নিয়ে যাওয়া হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘রাজ্যের অন্য জেলাগুলির মতো পশ্চিম বর্ধমানের গুরুত্বও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অপরিসীম। জেলার মানুষ তা জানেন। তাই তাঁর সভায় আগ্রহীরা ভিড় জমাবেন।’’ জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।