মেরামত নয়, বসবে নতুন গেট

ব্যারাজ সংস্কার করতে কী কী করা দরকার, তা ঠিক করতে ব্যারাজের ডিজাইন, স্কেচ নিয়েও আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। মন্ত্রী এ দিন বিকেলে চলে গেলেও বাকিরা দুর্গাপুরেই রয়েছেন।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২০
Share:

ভরা: চেনা ছবি দুর্গাপুর ব্যারাজে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর লকগেট খুলে স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব অনুযায়ী ওই লকগেটটি আর মেরামতি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সেচ দফতর। তাই ওই গেটটি বদলে একটি নতুন গেট লাগানো হবে বলে বুধবার জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবে আরও একটি অতিরিক্ত গেট ব্যারাজে এনে রাখা থাকবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

বুধবার দুর্গাপুরে সেচ দফতরের সচিব, যুগ্ম সচিব, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইন ও রিসার্চ দফতরের প্রধান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক, ব্যারাজ ও গেট সম্পর্কে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী। ব্যারাজ সংস্কার করতে কী কী করা দরকার, তা ঠিক করতে ব্যারাজের ডিজাইন, স্কেচ নিয়েও আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। মন্ত্রী এ দিন বিকেলে চলে গেলেও বাকিরা দুর্গাপুরেই রয়েছেন।

সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-র অগস্টে সমীক্ষা করানো হয় ব্যারাজের। এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার বিষয়ে কাজ করছেন বলে খবর। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরনো গেটের বদলে নতুন গেট লাগানো হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, আরও একটি নতুন গেট এনে এখানে রাখা থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে কখনও বিপত্তি ঘটলে তা ব্যবহার করা যায়। বুধবার থেকেই এই সব কাজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।’’ এই গোটা কাজের টাকা রাজ্য সরকারই দেবে বলে জানান মন্ত্রী। তবে তা কত, এ দিন নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।

Advertisement

এক নম্বর গেটটি ‘অস্থায়ী মেরামতে’র পরে তার সামনে সোমবার ফ্লোটিং গেট লাগানো হয়। কিন্তু ব্যারাজের কর্মীরা জানান, ফ্লোটিং গেটটি পুরোপুরি নদীর মেঝেতে না বসায় দু’টি গেটের মাঝে জল জমছে। মন্ত্রী জানান, ব্যারাজের জলস্তর সাধারণত ২১১.৫ আরএল ফুট থাকার কথা। কিন্তু এ দিন তা প্রায় ২১২ আরএল ফুট হয়ে যায়। ব্যারাজের উপরে জলের চাপ কমাতে জলস্তর যাতে কমানো হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দেন সেচমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, বেশি করে পাম্প চালিয়ে জল তুলে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা না করা গেলে দরকার হলে গেট খুলে কিছু জল বের করে দেওয়া যেতে পারে। রাজীববাবু বলেন, ‘‘আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ডিভিসি অতিরিক্ত জল ছেড়েছে। ডিভিসি-কে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাতে বলা হয়েছে। যদি তা না হয় তাহলে অন্য উপায় নিতে হবে।’’

তবে এই মুহূর্তে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন ব্যারাজের কর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement