চলছে দুর্গাপুর ব্যারেজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেরামতি সংক্রান্ত কাজ শুরু হল পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের দামোদর নদের উপর ব্যারেজে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই কাজ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত অবধি চলবে। এই সময়কালে সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হবে। বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া যাওয়ার জন্য এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অবধি সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেতুর একটি লেন দিয়েই সমস্ত গাড়ি যাতায়াত করবে। অন্য লেনটি সেই সময় বন্ধ থাকবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাত পর্যন্ত সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ওই সময়ে হবে সেতুর মেরামতির কাজ। তার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেতুটি সম্পূর্ণ ভাবে আগের মতোই যান চলাচলের জন্য খুলে যাবে।
১৯৫২ সালে এই ব্যারেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ১৯৫৫ সালের ৯ অগস্ট দেশের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এই সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৭ সালে ব্যারেজের এক নম্বর লকগেটটি ভেঙে গিয়েছিল। এর ফলে জল সংকট দেখা দিয়েছিল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আবার লকগেট ভাঙার ঘটনা ঘটে। এই সময় ব্যারেজের জল খালি করে লকগেট মেরামতের কাজ শুরু করতে হয়। এর জেরে গত বছরের শেষের দিকে চরম জলসংকট হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া জেলায় কিছু অংশে। এখন এই ব্যারেজের নিচের অংশ পরীক্ষা করা হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তার মেরামতিতে ওই সেতুতে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।