বেআইনি কয়লা কারবারে অভিযুক্ত শেখ আমিন ও গ্রামবাসী শেখ মোজাহারকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার রাতে দমদম বিমানবন্দর থেকে শেখ সাজাহানকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাজাহান চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যায়। খবর পেয়ে গোয়েন্দা বিভাগের কর্মী-আধিকারিকেরা চেন্নাই যান। সাজাহান চিকিৎসার পরে চেন্নাই থেকে বিমানে দমদমে আসে। সাদা পোশাকে পুলিশ তার পিছু নিয়েছিল। রাত ১২টা নাগাদ দমদমে নামার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাকে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সপ্তাহখানেক আগেই এই খুনে অভিযুক্ত শেখ জাহাঙ্গির ও শেখ জনিউল ধরা পড়ে কৈলাসপুর গ্রামে।
১৩ সেপ্টেম্বর ইদের নামাজ সেরে ইদগাহ থেকে বেরনোর সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শেখ আমিন। মাথায় গুলি লাগে গ্রামের বাসিন্দা শেখ মোজাহারের। পর দিন তাঁরও মৃত্যু হয়। আমিনের পরিবার গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ সাজাহান, তার ছেলে জনিউল, ভাই জাহাঙ্গির-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করে। এসিপি (পূর্ব) বিমলকুমার মণ্ডল জানান, সাজাহানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা হবে।