বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
গোলাপ বা কলম দিয়ে শুভেচ্ছা থেকে নিখরচায় কেন্দ্রে পৌঁছনোর বন্দোবস্ত, মাধ্যমিকের প্রথম দিনে জেলা জুড়ে পরীক্ষার্থীরা পেলেন সাহায্যের হাত। মঙ্গলবার নির্বিঘ্নেই মিটল পরীক্ষা।
পরীক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন বর্ধমানের টোটো চালকেরা। বর্ধমান স্টেশন থেকে যে কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইএনটিটিইউসি এবং ‘সদর ইকো রিকশা পুলার্স ইউনিয়ন’-এর উদ্যোগে। গত কয়েক বছর ধরেই এই ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। স্টেশনে পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উদ্যোক্তা ইফতিকার আহমেদ, অভিজিৎ নন্দীরা বলেন, ‘‘অনেক পরীক্ষার্থীই কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছবে, সে নিয়ে চিন্তায় থাকে। তাই এই উদ্যোগ।’’ খুশি পড়ুয়া ও অভিভাবকেরাও।
এ দিন নিজের বিধানসভা এলাকার এগারোটি স্কুলে ঘুরে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মোট ৪৪৬৫ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে গোলাপ, পেন, কেক, জলের বোতলও তুলে দেন তিনি। দূষণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য মেমারির একটি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা কাগজের প্যাকেটে ভরে জিনিসগুলি তুলে দেন তিনি। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু ও কালনা ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে গিয়ে গোলাপ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান।
বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক দু’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ফুল, কলম ও জলের বোতল দেন। রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইও বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে এই কর্মসূচি করেন। মেমারিতে ব্লক তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৌশিক মল্লিকের উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মেমারিতে এসএফআইয়ের তরফেও পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। দাঁইহাট ও কাটোয়ার নানা পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে টিএমসিপি-র তরফে সহায়তা ক্যাম্প করা হয়। দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও গার্লস স্কুলের সামনে সংগঠনের তরফে পরীক্ষার্থীদের ক্লিপবোর্ড ও কলম দেওয়া হয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এ দিন পরীক্ষর্থীদের শুভেচ্ছা জানান কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
দলের তরফেও নানা স্কুলে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি নেন তৃণমূল নেতারা। বর্ধমান ১ ব্লকের কৃষ্ণপুর হাইস্কুলে ২৫৫ জন পরীক্ষার্থীকে কলম, ফল দেওয়া হয়েছে বলে জানান অন্যতম উদ্যোক্তা রাজেন কুণ্ডু, দিলীপ চক্রবর্তীরা। মন্তেশ্বরের শুশনা তারামা যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠে পরীক্ষার্থীদের গোলাপ ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ছিলেন বাঘাসন পঞ্চায়েতের প্রধান ছন্দা রায়, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন রায় ও কার্যকরী সভাপতি আবু বক্কর মণ্ডল। আউশগ্রামের রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়েও একই রকম কর্মসূচি হয়। ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ, তৃণমূল নেতা আসগর শেখ, দেবদাস সরকারেরা।