—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পৈতৃক বাড়ির পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবডিহি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম শেখ কামালউদ্দিন ও শেখ আব্বাসউদ্দিন। মাধবডিহি থানার বারাটি গ্রামে তাঁদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার ভোরে গোতান বাজার এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। অন্য দিকে, মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নাম অয়ন মণ্ডল ও অনুপম পাল। পূর্ব মেদিনিপুরের বাসুদেবপুরে অয়নের আদি বাড়ি। বর্তমানে তিনি মাধবডিহি থানার নিজামপুরে থাকেন। অনুপমের বাড়ি মাধবডিহি থানার কামারহাটিতে। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। কামালউদ্দিন ও আব্বাসকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়নি পুলিশ। তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ নভেম্বর এসস-এসটি মামলার বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম। অয়ন ও অনুপমকে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। তাঁদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নভেম্বর বিকেলে রাজমিস্ত্রির কাজ সেরে বাড়িতে এসে এলাকায় মন্ত্রীর পুকুরে স্নান করতে যায় মহেন্দ্র হেব্ররম নামে এক যুবক। সেখানে শোলমাছের ছানা দেখতে পেয়ে বাড়ি থেকে জাল এনে তিনি ধরতে যান। সেই সময় তা দেখতে পেয়ে কয়েক জন তাঁকে ধরে মন্ত্রীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। মারধরে গুরুতর জখম হন ওই যুবক। তাঁকে মাধবডিহি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে হুগলির আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবক নিজেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরের দিন বিকেলে যুবককে মারধরের প্রতিবাদে শ’তিনেক গ্রামবাসী মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি তির, কাটারি, শাবল, টাঙি, বল্লম, রড ও গাছের ডাল প্রভৃতি উদ্ধার করেছে। পরে মাধবডিহি থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।