দেওয়াল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ল বালিবোঝাই লরি। — নিজস্ব চিত্র।
বালিবোঝাই লরি ধাক্কা মারল এক বাইক আরোহীকে তার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ল একটি বাড়িতে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বাইকআরোহীর। গুরুতর আহত আরও দু’জন। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কেরিলি গ্রামে। পুলিশ ঘাতক লরিটিকে আটক করতে পারলেও অধরা চালক এবং খালাসি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বালিবোঝাই লরিটি দ্রুতগতিতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। কেরিলি গ্রামে রাস্তার উপর আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক বাইকআরোহীকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার পর রাস্তা থেকে নেমে সোজা দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ে একটি বাড়িতে। ঘটনাস্থলেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বাইকআরোহী ৫৫ বছরের সওকত আলির। অন্য দিকে, যে বাড়িতে লরিটি ঢোকে, সেই বাড়িতে সেই সময় রান্না করছিলেন এক মহিলা। পাশেই খেলা করছিল তাঁর ছোট মেয়ে। লরির ধাক্কায় দু’জনেই গুরুতর আহত হন। মায়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ ক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সওকত পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। তাই এই পরিস্থিতিতে পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা করতে হবে। পাশাপাশি, রাস্তায় ‘স্পিড ব্রেকার’ লাগাতে হবে। স্থানীয়দের দু’টি দাবিই মেনে নিয়েছে প্রশাসন। তার পরেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ শামসুজ্জামান বলেন, ‘‘বার বার বলেও রাস্তা ঠিক হয়নি। ঘাতক লরির চালক খুব জোরে চালাচ্ছিলেন। চালক মত্ত অবস্থায় স্টিয়ারিংয়ে বসেছিলেন।’’ আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তি বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় লরি তাকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরেই বেসামাল হয়ে লরিটি ঢুকে পড়ে একটি বাড়িতে। সেই বাড়িরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে।’’ এসডিপিও (সাউথ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে। তবে লরির চালক এবং খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।’’