খুচরোর সমস্যা কাটছেই না।
ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক খুচরো পয়সা নিতে চাইছে না। আবার পুরসভা বা বিভিন্ন সরকারি কোষাগারেও খুচরোর পাহাড় জমছে বলে দাবি কর্তাদের। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের কাছে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাননি তাঁরা।
গুসকরা পুরসভার ক্যাশিয়ার প্রসাদ ঘোষ জানান, বাসস্ট্যান্ড, সব্জি ও পশুহাট এবং নানা কর বাবদ পুরসভাকে খুচরো নিতে হচ্ছে। কিন্তু সেই খুচরো ব্যাঙ্ক নিতে না চাওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। দিনদিন পুরসভার আলমারি ভর্তি হয়ে যাচ্ছে কয়েনে। প্রবীণ কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, “সমস্যাটি নিয়ে গুসকরার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলার পরেও সুরাহা হচ্ছে না।’’ হামিরপুরের ব্যবসায়ী সুশান্ত ঘোষের দাবি, ‘‘খুচরো না নিলে খরিদ্দার ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু মহাজনেরা খুচরো নিতে চাইছেন না।’’ গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের মিষ্টি ব্যবসায়ী রাজীব দে আবার বলেন, “খুচরোর লেনদেন একপ্রকার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। খুচরোর বদলে চকোলেট রাখতে হচ্ছে।’’ গুসকরা চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক তারাপদ ঘোষ বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের সাথে কথা বলেছি। ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়েছে খুচরো গোনার বা রাখার মতো কর্মী বা পরিকাঠামো না থাকার জন্যেই নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুশকিল বেড়েই চলেছে।’’
কালনার হকারদের আবার দাবি, স্থানীয় বেকারি থেকে পাউরুটি, বিস্কুট নিয়ে গ্রামে গঞ্জে ব্যবসা করেন তাঁরা। কিন্তু দোকানগুলির বেশির ভাগই অর্ধের টাকা মেটাচ্ছে খুচরোয়। অত ওজন নিয়ে জিনিস ফেরি করাটাও মুশকিলের হয়ে যাচ্ছে। কালনার এক বিড়ি ব্যবসায়ী সমীর বসুর দাবি, ‘‘খুচরো নিয়ে লেনদেনে মুশকিল হচ্ছে। কাঁচামালও কেনা যাচ্ছে না।’’
কালনার বৈদ্যপুর মোড় এলাকার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের অবশ্য দাবি, সাধ্যমতো খুচরো নেওয়া হয়েছে। তবে কর্মী সমস্যা রয়েছে। গুসকরার একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও দাবি, অত খুচরো গোনার মতো কর্মী নেই তাঁদের। জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার শিবশঙ্কর গুপ্ত অবশ্য বলেন, ‘‘কয়েন নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলির কাছে নির্দেশ দেওয়া আছে। ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের থেকে কয়েন নিচ্ছে না এরকম কোনও অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।” আউশগ্রাম ১ এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, কেউ অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।