গুসকরায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জমা জল বার করছেন কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ দিন জলের তলায় ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তাতে পঠনপাঠন এবং কেন্দ্র থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ ছিল। বুধবার জল নামতেই কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকারা ঝাঁটা হাতে ঘরগুলির জল, কাদা-পলি পরিষ্কার শুরু করলেন। তাতে হাত লাগান স্থানীয়দের একাংশ। পরে ভাড়া করা গ্যাসে খিচুড়ি বানিয়ে বিলি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির জেরে গুসকরা পুরসভার শান্তিপুর বণিক পাড়ার ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জল ঢুকে যায়। সেখানে তখন চাল, ডাল সহ অন্য খাদ্য সামগ্রী ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলার সুব্রত শ্যামের উদ্যোগে তড়িঘড়ি সেগুলি পাশের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দোতলায় সরিয়ে রাখা হয়। এ দিন কেন্দ্র থেকে জল নামলে দেখা যায়, দুটি ঘরে পলি জমে গিয়েছে। পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য তৈরি পোস্টার, খেলনা জলে নষ্ট হয়েছে। রান্নার কাঠ ভিজেছে। রান্নার জায়গাও এখনও জলে ডুবে। ওই কেন্দ্র থেকে মোট ১০২ জন মা ও শিশুর খাবার দেওয়া হয়।
ওই কেন্দ্রের কর্মী অনিতা মণ্ডল সিংহ জানান, শুক্রবার থেকে জল ঢুকে যায়। চাল, ডালের মতো কিছু জিনিস সরানো গিয়েছিল। যেগুলি সরানো যায়নি, সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাঠ ভিজে যাওয়ায় গ্যাস ভাড়া করে এনে এ দিন রান্না করা হয়। এলাকার বাসিন্দা কমল মণ্ডল, স্বপন মালোরা জানান, এই এলাকাটি নিচু। প্রায় এক কোমর জল দাঁড়িয়েছিল। জল থাকায় অঙ্গনওয়াড়ি খোলা যায়নি। এ দিন দিদিমনিরাই সব সাফাই করে ফের পড়াশোনার উপযুক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্লক শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (আউশগ্রাম ১) রিয়া সরকার বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির কারণে কিছু কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছিল। জল সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কর্মীরা কেন্দ্রগুলিচালু করেছেন।”