ভোটের মুখে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ

সোমবার সিপিএমের পাঁচশোর বেশি কর্মী, সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৭
Share:

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে পতাকা হাতে। নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটের আগে বামেদের ‘শক্ত’ ঘাঁটি পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ফাটল ধরাল তৃণমূল।

Advertisement

দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, সোমবার সিপিএমের পাঁচশোর বেশি কর্মী, সমর্থক যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কালেখাঁতলা ২ শাখা কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক হিল্টন রায়। তিনি ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানান স্বপনবাবু। তৃণমূলের দাবি, এই যোগদানে আরও ভোট দলের অনুকূলে আসবে। যদিও সিপিএমের দাবি, এতে সংগঠনের কোনও হেরফের হবে না। হিল্টনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটে জেলা জুড়ে বামেদের ভরাডুবির মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কালেখাঁতলা। ১৪-০ ভোটে জিতেছিল সিপিএম। গত বিধানসভাতেও পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্র বামেদের দখলে যায়। এমনকী, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে ‘ভোট’ না হলেও এই এলাকায় বামেদের সংগঠনে ফাটল ধরেনি। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের অন্য পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা শাসকদলে গেলেও কালেখাঁতলার ছবি বদলায়নি। তবে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে মাস চারেক আগে থেকে। সিপিএমেরই একাংশের দাবি, মাস চারেক আগে থেকে দলের একাংশের সঙ্গে নেতাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। সম্প্রতি তা বড় আকার নেয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৩ সালে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হারের সময় উপপ্রধান ছিলেন হিল্টনবাবু। এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন যিনি সিপিএমের বিধায়ক সেই সময় জেলে ছিলেন তিনি। এলাকায় ভোট পরিচালনা করেছিলাম আমি। কিন্তু এলাকায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। সিপিএমের উচ্চ নেতৃত্ব সম্পর্কেও আমরা বীতশ্রদ্ধ। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’ তাঁর দাবি, এ দিন যাঁরা দলত্যাগ করেছেন তাঁদের মধ্যে ১১ জন প্রাক্তন পার্টি সদস্য রয়েছেন।

পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির-সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালেখাঁতলা ২ ব্লকের সিপিএমের বেশির ভাগ নেতা কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এর সুফল মিলবে লোকসভা নির্বাচনে।’’ সিপিএম অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ সাহা বলেন, ‘‘এলাকার বেশির ভাগ মানুষই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। এর পরেও যাঁরা তৃণমূলের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের ৯০ শতাংশ ভোট পাবে দল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement