কাটোয়ায় রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
বৈঠক করে সব নেতাকে এক সঙ্গে ভোটের প্রচারে নামার বার্তা দিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। কিন্তু সেই বৈঠকের দিন পাঁচেক পরেই তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত মিছিলে দেখা মিলল না এক নেতার। রবিবার কাটোয়ায় দলের মিছিলে থাকলেন না শহর তৃণমূলের সভাপতি অমর রাম। তবে ছিলেন দলের আর এক নেতা তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার বিকাল ৪টে নাগাদ কাটোয়ার স্টেশনবাজারে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে দলের প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের সমর্থনে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবুর নেতৃত্বে এই মিছিল শহর পরিক্রমা করে। রবিবাবু ছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে এলাকায় বার দুয়েক প্রচারে এসেছিলেন সুনীলবাবু। পানুহাটে ওই দুই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রবিবাবু। কোনওটিতেই অমরবাবু হাজির ছিলেন না। এর পরেই গত মঙ্গলবার দুই নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ ও জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত। তৃণমূল কার্যালয়ে ওই বৈঠকে স্বপনবাবু বলেছিলেন, ‘‘দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ছোটখাট মান-অভিমান অনেক সময়ে হয়। তবে ভোটের সময়ে আমাদের লক্ষ্য এক সঙ্গে কাজ করে প্রার্থীকে যতটা সম্ভব বেশি ভোটে জেতানো।’’ ভোটের আগে দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব মেটাতেই ওই বৈঠক হয় বলে তৃণমূলের নানা সূত্রের দাবি। সে দিন অমরবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেছিলেন, ‘‘দলের নির্দেশমতো ভোটে এক সঙ্গে কাজ করব।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু এ দিন ফের মিছিলে গরহাজির থাকেন অমরবাবু। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘অমরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুনেছি তিনি কাটোয়ায় নেই।’’ তবে এ দিন বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি অমরবাবু। দেখা মেলেনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রণব দত্ত-সহ দুই কাউন্সিলরের। প্রণববাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত থেকেও এখন দলের সভা-মিছিলে ডাক পাই না। তবে আমি আলাদা ভাবে প্রচার করছি। আমরাও চাই, দল বড় ব্যবধানে জিতুক।’’ জেলা সভাপতি স্বপনবাবু বলেন, ‘‘আমি অন্য জনসভায় ব্যস্ত রয়েছি। অমর কেন মিছিলে যাননি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’