—প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুর্গাপুরের আমরাই এলাকার এক যুবক। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাখি তিওয়ারি বলেন, “ওই যুবক ভেলোর থেকে ফেরার পরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। পুরসভার তরফে এলাকায় নজরদারি চলছে।” এলাকার এক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন জানার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তুলেছেন। পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের চিকিৎসা করাতে ওই যুবক মাসখানেকের জন্য ভেলোর গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার সময়ে আসানসোল স্টেশনে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। বাড়ি ফেরার পরে তাঁকে ইছাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তপরীক্ষা করানো হয়। পরিবারের দাবি, রিপোর্ট ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পরেই বুধবার তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। যুবকের মা বলেন, “আসানসোলে নামার সময় থেকেই জ্বর ছিল। জ্বর না কমায় ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, “বছরের এই সময়ে ডেঙ্গির সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য হাসপাতাল তৈরি আছে। চিন্তার কিছু নেই। জ্বর হলেই চিকিৎসা করাতে হবে।”
এলাকার বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রহব বলেন, ‘‘বহু দিন পর পর নালা সাফ করা হয়। বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু জল বয়ে যাচ্ছে না। ফলে, এলাকায় মশা, মাছির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। দ্রুত সাফাই না হলে ডেঙ্গির সম্ভাবনা বাড়বে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার দাবি, “লোকসভা নির্বাচনের আগে এক বার সাফাই হয়েছিল। তার পরে আর কাউকে আসতে দেখিনি।”
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রাখি বলেন, “খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় গিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোথাও জল জমে আছে কি না তা দেখে সরিয়ে ফেলা, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হয়েছে। একশো দিনের কাজের কর্মীরা এলাকা সাফাইয়ের কাজ করেছেন। নিকাশি নালা নিয়ে যে সমস্যার কথা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সে বিষয়েও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আরও ৩ জনের ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছিল। তাঁরাও ভিন্ রাজ্য থেকে এসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।