Anganwadi Workers

জল-জঙ্গলে শিশুরা থাকে! ক্ষোভ অঙ্গনওয়াড়ি নিয়ে

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রাণিসম্পদ দফতরের জমিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হয়। শুরুতে জমিতে কোনও পাঁচিল না থাকায় জল জমত না। এখন পাঁচিল দেওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়, আগাছায় ভরা থাকে।

Advertisement

প্রণব দেবনাথ

কাটোয়া শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৩
Share:

কাটোয়ায় এই ঘরেই চলে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।

ভাঙাচোরা টিনের চালা ঘরে বিপজ্জনক ভাবে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এলাকার বাসিন্দা থেকে কর্মীদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুরাবস্থা নিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। পাঁচ বছর ধরে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু শিক্ষার বালাই নেই বলেও দাবি তাঁদের। শুধু শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের খাবার বিলি করা হয়। তাও আবার বৃষ্টি হলে রান্না বন্ধ থাকে।

Advertisement

কাটোয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অনাদিবাবুর বাগান এলাকার ২৬৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিচালনা করেন এক সহায়িকা ও দুই কর্মী। শহরের ৪৮টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেহাল অবস্থা এই কেন্দ্রটির। কচুবনের মধ্যে একটি মরচে ধরা টিনের চালা ঘর। পাঁচিল বলতে বাঁশের উপর মরচে ধরা ভাঙা করগেট সিট। চালা ঘরের চারিদিকে আগাছায় ছেয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টিনের চালাঘরে পৌঁছতে গেলে কিছুটা জল-কাদা পার করে যেতে হয়। সাপ, জোঁকের ভয়ে শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রমুখো হতে চায় না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অফিসের রেজিস্টার, নথি থাকে দিদিমনির ব্যাগে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রাণিসম্পদ দফতরের জমিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু হয়। শুরুতে জমিতে কোনও পাঁচিল না থাকায় জল জমত না। এখন পাঁচিল দেওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়, আগাছায় ভরা থাকে। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ভারতী অধিকারী বলেন, “প্রশাসনের দরবারে বার বার আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। খুবই কষ্টের সঙ্গে কেন্দ্রটি চালাতে হয়। আজ পর্যন্ত কোনও আধিকারিক পরিদর্শন করতে আসেননি।”

Advertisement

সহায়িকা সুমিতা অধিকারী বলেন, “কষ্টের কথা কাউকে বোঝাতে পারি না। সাপ তাড়িয়ে রান্না করতে হয়। ’’ কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, “আইসিডিএস কেন্দ্রটির বেহাল অবস্থার কথা আমি জানতে পেরে পরিদর্শনে কর্মী পাঠিয়েছিলাম। রিপোর্ট তৈরি করে সিডিপিওকে জানিয়েছি। স্থায়ী সিডিপিও না থাকায় কিছু করা যায়নি। আর্থিক সংস্থানের দিকে একটা অসুবিধা আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement