মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশালীন কথা বলা ও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। সেই মামলায় গরহাজিরার জেরে সমন জারি হওয়ায় এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এই গ্রেফতারির পিছনে প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর নন্ডী গ্রামের তৃণমূল কর্মী শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির তৎকালিন জামুড়িয়া ব্লক সভাপতি সন্তোষ সিংহ, ব্লক সম্পাদক রানা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজু বাউরির বিরুদ্ধে ওই মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলাটি বিচারীধীন। সন্তোষবাবু ও রানাবাবু আগেই জামিন নিয়েছেন। রবিবার রাতে রাজুবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। রাজুবাবুর অভিযোগ, “রাতে জনা ছয়েক পুলিশকর্মী বাড়িতে এসে গালিগালাজ করে আমাকে থানায় নিয়ে যায়।’’ এডিসিপি (সেন্ট্রাল) জে মার্সি অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশ কোনও দুর্ব্যবহার করেনি।’’
অভিযুক্তদের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তাঁদের। রানাবাবুর কথায়, ‘‘সে দিন মিছিল করে গিয়ে থানায় একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল আমাদের। সেখান থেকে বেরোতেই তৃণমূল আমাদের উপরে হামলা চালায়। পুলিশ উদ্ধার করে। পরে শুনি, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’’
বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি তাপস রায়ের অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে।’’ সন্তোষ সিংহের দাবি, গত চার বছরে তাঁদের ১৪২ জন কর্মীকে নানা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাশন বলেন, ‘‘সমন থাকায় অভিযুক্তকে ধরেছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রতিহিংসার কিছু নেই।’’