গোলামালের পরে সিজেএমের চেম্বারের সামনে আইনজীবীরা। —নিজস্ব চিত্র।
ফের শুনানি পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন আইনজীবীদের একাংশ। শনিবার বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম বিনোদ মাহাতোর এজলাস থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, শুনানি পদ্ধতি নিয়ে তাঁরা যখন ক্ষোভ জানাচ্ছিলেন সেই সময়ে চেম্বারে বর্ধমান থানার এক তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে বসেছিলেন বিচারক। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা জজের কাছে অভিযোগ করেন ওই আইনজীবীরা। তাঁর হস্তক্ষেপে সিজেএম (২) এজলাসে বসলেও আইনজীবীরা কেউ আর এজলাসমুখো হননি।
আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেন, আউশগ্রামের সিলুট গ্রামের একটি মামলায় চার জনের জামিন নাকচ করে দেন বিচারক। ওই মামলার অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “মামলার অভিযোগকারী বিবাদ মিটে গিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন। আমি জামিন না পাওয়া অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি জানাই।” কিন্তু মামলার সরকারি আইনজীবী বিরোধিতা করায় বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। আর তার পরেই আইনজীবীরা ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, এরই মধ্যে এজলাস থেকে বিচারক চেম্বারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছে দেখে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, “চেম্বারে বসে তদন্তকারীর কথা শুনলে তো অভিযুক্তদেরও বিচারকের চেম্বারে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। এর প্রতিবাদের আমরা ওই এজলাস বয়কট করেছি। সোমবার আলোচনার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
পুজোর ছুটির আগে একই ভাবে শুনানি পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সিজেএম এজলাস বয়কট করেছিলেন আইনজীবীরা। সিজেএম এবং জেলা জজ বার অ্যাসোসিয়েশনে গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পরে বয়কট তোলেন আইনজীবীরা। এ দিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কর্তারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।