শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারি কার্যালয়ের সামনে। বুধবার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে, এই দাবিতে বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালে ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারি কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন জমিদাতাদের একাংশ।
জমিদাতারা জানান, শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারি সম্প্রসারণের জন্য সংস্থা ২০১৬ সালে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কয়লা খননও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁদের দাবি, সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দু’একরে এক জনকে চাকরিতে নিয়োগ করার কথা। সেই মতো ৭৫ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, ৪১ জনকে চাকরি দেওয়া হলেও বাকিরা এখনও বঞ্চিত। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগের আবেদন জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই এ দিন জমিদাতাদের একাংশ অনশন শুরু করেন। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তাঁরা।
‘কোলফিল্ড ভিলেজার্স কমিটি’ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কমিটির সদস্যেরা। তৃণমূল পরিচালিত হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ জানান, তাঁরাও কমিটির পাশে আছেন। উপপ্রধানের দাবি, ইসিএলের কেন্দা, বাঁকোলা, শোনপুর বাজারি, পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ায়ও একই ভাবে জমি নেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার প্রায় তিনশো জন জমিদাতা এখনও চাকরি পাননি। অথচ, সংস্থা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ক্ষেত্রেই জমি অধিগ্রহণ করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি না রেখেই কয়লা কাটা চলছে।
সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে তা নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।