Government Land Encroachment

প্রস্তাবিত সেতুর জমিতেও দখলদার, সরাতে ব্যবস্থা

বৈঠকে হাজির ছিলেন মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল, কালনা ২ ব্লকের বিডিও, বিএলআরও, বন দফতরের কাটোয়ার রেঞ্জার ও বেশ কয়েক জন আধিকারিক।

Advertisement

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

কালনা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ০৯:২০
Share:

ঘাসে ঢাকা পড়েছে জমি চিহ্নিত করা স্তম্ভ। নিজস্ব চিত্র।

জমি কেনার কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও প্রায় দেড় বছর ধরে ভাগীরথীর উপরে কালনা এবং নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতু তৈরির প্রশাসনিক উদ্যোগ দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন পরে শুক্রবার কালনার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে সেতু নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এক আধিকারিক জানান, সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় জমির কিছু অংশ দখল করে রাখা হয়েছে। সেই অংশ দখলমুক্ত করে কাজ শুরু হবে।

Advertisement

বৈঠকে হাজির ছিলেন মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল, কালনা ২ ব্লকের বিডিও, বিএলআরও, বন দফতরের কাটোয়ার রেঞ্জার ও বেশ কয়েক জন আধিকারিক। বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগদান করেন জেলা প্রশাসনের এক কর্তা। বৈঠকের পরে মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হবে। তার আগে সেতুর জন্য কেনা জমি থেকে বিডিও, বিএলআরও, পঞ্চায়েত সমিতি এবং স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে দখলদারদের সরানো হবে। সেতুর জন্য আরও ১১ শতক জমি কেনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পূর্ত দফতর। ওই জমি কেনার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন চাওয়া হবে।

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সেতুর জন্য ড্রোন-সমীক্ষা শেষ হয়েছে। যে এলাকায় সেতু হবে সেখানে বেশ কিছু গাছও রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বন দফতরকে। আশা করছি সেতুর কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।’’ বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহ জানিয়েছেন, সেতুর জমিতে প্রায় ৩৫০টি গাছ রয়েছে। রয়েছে আমবাগানও।

Advertisement

পর্যটন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ২০১৭-এ সেতুটি তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়। কালনার একটি অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮-এ জানিয়েছিলেন, সব ঠিক থাকলে সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২২-এ। যদিও এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। যার ফলে ক্ষোভ রয়েছে শহরে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুর জন্য কালনা ২ ব্লকের সাতগাছি পঞ্চায়েতের চারটি মৌজা থেকে ৪৭.৭৩ একর জমি কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে বারাসাত মৌজায় ৬.৩৪০৫ একর, হাঁসপুকুরে ১৩.৭১৯৭ একর, কুলিয়াদহ মৌজায় ১৫.৯১৫৯ একর এবং পূর্ব সাহাপুর এলাকায় ১২.০৭৩৫ একর জমি রয়েছে। শুরুতে জমি কেনার কাজে গতি কম ছিল। ২০২২-র মধ্যে এই চার মৌজায় ৯৭ শতাংশের বেশি জমি কেনার কাজ শেষ হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ১.৩৪ একর জমি কেনার কাজ বাকি। তার মধ্যে ৮.৫ শতক জমি দিতে এক ব্যক্তি রাজি হলেও সে জমি এখনও কেনা হয়নি। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, মামলা মোকদ্দমা-সহ নানা জটিলতায় বাকি জমি কেনার কাজ এগোয়নি। তবে ৯৭ শতাংশের বেশি জমি হাতে চলে আসায় কাজ শুরু করতে কোনও সমস্যা নেই।

২০২৪-এ লোকসভা ভোটের আগে এই প্রকল্প নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতামন্ত্রীকে। ফলে সেতুর কাজ আদৌ শুরু হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মহকুমা প্রশাসনের বৈঠকের পরে ফের সেতু নিয়ে আশার আলো দেখছেন কালনাবাসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement