নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পশ্চিম বর্ধমান ও জলপাইগুড়়িতে বিক্ষোভ দেখাল কিসান মোর্চা কমিটি ও সারা ভারত কৃষক সভা। সোমবার বেশ কিছু ক্ষণ আসানসোলে রেল অবরোধ করেন কিসান মোর্চার সদস্যরা। এ দিন সকাল ১১টা থেকে আসানসোল রেল ডিভিশনের বিবেকানন্দ সারণিতে পাঁচমুখী সেতুর উপর রেল অবরোধ ডাকা হয়েছিল।
আসানসোলে কিসান মোর্চার ডাকা অবরোধের জেরে স্টেশনে বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়েছিল হাওড়া-বিকানের যোধপুর সুপারফাস্ট ট্রেন। পরে আরপিএফ এসে তুলে দেয় অবরোধ। যদিও আসানসোল রেল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক সুবলচন্দ্র মণ্ডল জানান, ‘‘অবরোধের জেরে রেল চলাচল এক বারেই বিঘ্নিত হয়নি।’’
অন্য দিকে, ধূপগুড়িতেও রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল সারা ভারত কৃষক সভা। কিন্তু এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন কৃষক সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যেই বিবাদ শুরু হয়ে যায়। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বিক্ষোভের ডাক দিয়েও রেললাইনে নামতে সাহস পাচ্ছিলেন না নেতৃত্ব। শুধু প্ল্যাটফর্মেই লাল ঝান্ডা হাতে ঘুরতে দেখা যায় তাঁদের। স্টেশনে মোতায়েন পুলিশকেও নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, লাইনে নামবেন না তাঁরা। এর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সংগঠনের সাধারণ কর্মীরা।
নেতৃত্বের সঙ্গে মতানৈক্যের পর সাধারণ কর্মীরাই লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাজধানী এক্সপ্রেসও আটকানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। এর পর পুলিশের চাপে কিছু ক্ষণের মধ্যে রেললাইন ছেড়ে উঠে যেতে বাধ্য হন বিক্ষোভকারীরা। যদিও কৃষক সভা নেতৃত্বের দাবি, ‘‘সর্বশক্তি দিয়ে আজকের আন্দোলন সফল করা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় যদি কোনও ট্রেন আসত, তবে নিশ্চয়ই সেটিকে আটকানো যেত।’’