চুরির জিনিস উদ্ধার, গ্রেফতার মহিলা

তদন্তকারীরা জানান, কাটোয়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চবটীপাড়ার বাড়ি থকে ধরা হয় বছর চল্লিশের ওই মহিলাকে। তার কাছ থেকে গোটা বারো মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, সাড়ে চার ভরি সোনার গয়না, রুপোর চামচ উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:২৫
Share:

মিলেছে ফোন, ল্যাপটপ, গয়না। নিজস্ব চিত্র

একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছিল কাটোয়া শহরে। তার তদন্তে নেমে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গয়না, ল্যাপটপ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুরির ঘটনায় ১২ জানুয়ারি চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের অন্যতম সঞ্জিত অধিকারীকে কেশিয়ার পাহাড়পুর থেকে ধরা হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল মিলেছিল। সঞ্জিতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার শাশুড়ি ভনা দাসকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, কাটোয়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চবটীপাড়ার বাড়ি থকে ধরা হয় বছর চল্লিশের ওই মহিলাকে। তার কাছ থেকে গোটা বারো মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, সাড়ে চার ভরি সোনার গয়না, রুপোর চামচ উদ্ধার করা হয়। সেগুলি সবই চোরাই সামগ্রী বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদতে দাঁইহাটের বাসিন্দা সঞ্জিত দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির চন্দনবিহারের নেহরু গলিতে থাকত। সেখানে চায়ের দোকান রয়েছে তার। তবে বছর দুয়েক আগে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে পাহাড়পুরের একটি ভাড়া বাড়িতে রেখেছিল সে। মাঝে-মাঝে সেখানে তার যাতায়াত ছিল।

পুলিশ জানায়, তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লির পাট গুটিয়ে টোটো কিনে চালানোর পরিকল্পনা করছিল সঞ্জিত। পুলিশের দাবি, টোটো কেনার সামর্থ্য না থাকায় লোক জোগাড় করে চুরির ছক কষে সে। চোরাই মালপত্র রাখত শাশুড়ির কাছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে স্টেশনবাজার চৌরাস্তার একটি মেসবাড়িতে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ চুরি যায়। সে দিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বিবেকানন্দ পল্লিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদা খাতুনের পরিজনের বাড়িতেও তালা ভেঙে চুরি যায় বেশ কিছু জিনিসপত্র। ওই এলাকায় এক শিক্ষক এবং এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও ওই একই সময়ে চুরি হয়। পরপর চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সঞ্জিতকে জেরা করে চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃত মহিলাকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে এক দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement