Murder

Murder: রাতবিরেতে পড়শি মহিলার কাছে লোকজনের আনাগোনা! প্রতিবাদে মধ্যবয়সিকে খুনের অভিযোগ কাটোয়ায়

মিহিরের ভাই শিবু পণ্ডিতের অভিযোগ, আখড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মহলাদার এবং জগদানন্দপুর গ্রামের সোমনাথ মাজিই তাঁর দাদাকে খুন করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাতবিরেতে পাড়ার এক বিধবা মহিলার বাড়িতে বাইরের লোকজনের আনাগোনা ছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় দুই বাসিন্দাও। এর প্রতিবাদ করায় এক মধ্যবয়সিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায়। এই ঘটনায় এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে একটি কারখানার পিছন থেকে মিহির পণ্ডিত (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার নলাহাটি গ্রামে।

Advertisement

মিহিরের ভাই শিবু পণ্ডিতের অভিযোগ, আখড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মহলাদার এবং জগদানন্দপুর গ্রামের সোমনাথ মাজিই তাঁর দাদাকে খুন করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে টুকি পণ্ডিত নামে এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সোমনাথ এবং প্রশান্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নলাহাটি গ্রামের পণ্ডিতপাড়ায় বাড়ি মিহির পণ্ডিতের। তিন বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। ছেলে তন্ময় কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, স্বামীহারা টুকির তিন ছেলে বাইরে কর্মরত।

Advertisement

শিবু জানিয়েছেন, পাশের গ্রাম জগদানন্দপুরে রাধাগোবিন্দ জিউয়ের পুজো উপলক্ষে মেলায় বুধবার দাদার সঙ্গে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। শিবুর দাবি, যাত্রা চলাকালীন প্রশান্ত এবং সোমনাথের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁদের। রাত আড়াইটে নাগাদ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ি চলে আসেন তিনি। তবে বাড়ি ফেরার সময় মিহিরকে তাড়া করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

শিবুর অভিযোগ, প্রতিহিংসাবশত মিহিরকে খুন করেছেন প্রশান্ত এবং সোমনাথ। তাঁর দাবি, টুকি পণ্ডিত নামে এক মহিলার বাড়িতে রাতবিরেতে প্রায়শই আসতেন প্রশান্ত এবং সোমনাথ। এমনকি, বাইরের লোকজনেরও ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। রাতের বেলায় বাইরের লোকজন তাঁদের বাড়ির উঠোনে দিয়ে যাতায়াত করায় প্রতিবাদ করতেন মিহির এবং শিবু। মাস ছয়েক আগে এ নিয়ে মিহিরদের সঙ্গে প্রশান্তদের ঝামেলা হয়। শিবুর দাবি, ‘‘ওই পুরনো ঝামেলার প্রসঙ্গ টেনে বুধবার রাতেও সোমনাথ এবং প্রশান্ত যাত্রানুষ্ঠান চলাকালীন ঝামেলা করেন। ধাক্কাধাক্কি করেন আমাদের।’’
শিবুর অভিযোগ, মিহিরকে একা পেয়ে তাড়া করেন প্রশান্তরা। জগদানন্দপুরের চানাচুর কারখানার পিছন দিক দিয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে মিহিরকে লক্ষ্য করে বাঁশও ছোড়েন তাঁরা। পায়ে বাঁশ লেগে পড়ে যান মিহির। তার পর তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাতেই মারা যান মিহির।

খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মিহিরের উপর হামলার দৃশ্য এলাকার সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement